মধ্যরাতে ড্যাফোডিলের হলে ভেঙে পড়ল বৈদ্যুতিক পাখা, হতাহত নেই
- ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৬
মধ্যরাতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হলের একটি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা ভেঙে এক শিক্ষার্থীর খাটের ওপর পড়ে যায়। এতে বিছানায় শিক্ষার্থী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানালেও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ হলের বি ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ হলের বি ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমের সবাই ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সিফাত লাইট অফ করতে গেলে হঠাৎ বৈদ্যুতিক পাখাটি শব্দ করে নিচে পড়ে যায়। এতে রুমে থাকা সবাই ভয় পেয়ে যায়, আশপাশের রুমের শিক্ষার্থীরাও ছুটে আসে। সবাই মিলে হল প্রভোস্টসহ হল প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি।
পরে ওই ফ্লোরে অবস্থানরত সহকারি হল অফিসার মোহাম্মদ নূরনবীকে টানা ১০ মিনিট ডাকার পর তিনি তার নিজ রুমের দরজা খুলেন। শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আসার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, আমি গিয়ে কী হবে, তোমরা নিচতলায় টেকনিশিয়ানের কাছে যাও। এই কথায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ রুমে ফিরে যান এবং ভাঙা পাখাটি একই স্থানে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান।
ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ হলের বি ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, ‘ভয়ে মুখ থেকে কথা বের হচ্ছিল না। আর দুই মিনিট আগে লাইট অফ করলে হয়তো পাখাটি আমার ওপরেই পড়ত।’
ওই আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা কেউ ঘুমাতে পারছি না, সবাই বসে আছি। কেমন একটা ভয় কাজ করছে। কিছুদিন আগেই তো সব পাখা পরিষ্কার করলাম, হঠাৎ এমন ঘটনা! এমন দুর্ঘটনার পরও তাদের কি আসা উচিত ছিল না, এটা খুবই দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘১০/১৪ তলা হলই বানাচ্ছেন, কিন্তু যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করেন, তাহলে কীভাবে চলবে! এমন একটা ঘটনা ঘটল, অথচ কারও কোনো গুরুত্ব নেই। হলের পাখাগুলো ঠিক আছে কিনা সেগুলো তো হল প্রশাসনকেই দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-২ এর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।