জাতীয় সাঁতারে প্রথম দিনে ৫ নতুন জাতীয় রেকর্ড, শীর্ষে নৌবাহিনী
- ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৯
ম্যাক্স গ্রুপ ৩৪তম জাতীয় সাঁতার, ডাইভিং ও ওয়াটার পোলো প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই সাঁতার ইভেন্টে পাঁচটি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে আজ শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৮টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে পদক তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে।
প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে সাঁতারে ১০টি এবং ডাইভিংয়ে দুটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। পদক তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী; ৩টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে তারা। আর একটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে তৃতীয়স্থানে বিকেএসপি।
নতুন রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্রে আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাঁতারুরা। পুরুষদের সাঁতারে একাই দুটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন নৌবাহিনীর কাজল মিয়া। তিনি ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে ১ মিনিট ৫৫ দশমিক ০৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২০১৬ সালে মাহফিজুর রহমান সাগরের গড়া রেকর্ড ভেঙে দেন। এরপর দিনের দ্বিতীয় রেকর্ডটি আসে ২০০ মিটার বাটার ফ্লাই ইভেন্টে, যেখানে কাজল তার নিজের করা গত বছরের রেকর্ড ভেঙে ২ মিনিট ৫ দশমিক ৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন।
কাজলের মতো নৌবাহিনীর সামিউল ইসলাম রাফিও দুটি নতুন জাতীয় রেকর্ড করেন। ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে তিনি গত বছর নিজের করা ২৬ দশমিক ৭৯ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে এবার ২৬ দশমিক ০৫ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। পরে ৪x১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রিলেতে নাহিদ, নুর আলম ও আসিফ রাজার সাথে দলগতভাবে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন রাফি।
নারী সাঁতারেও একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। ৪x১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল রিলেতে নৌবাহিনীর মাইশা যুথী, এ্যানি ও সোনিয়া যৌথভাবে এই রেকর্ডটি গড়েন।
বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এসময় সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীনসহ ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ মোট ৬৭টি দলের প্রায় ৫১৬ জন পুরুষ ও ৭৯ জন মহিলা সাঁতারু, ১০৫ জন টিম অফিসিয়াল এবং ১২০ জন মিট অফিসিয়ালসহ সর্বমোট ৮১৬ জন অংশগ্রহণ করেছেন।