‘অনেক সাবজেক্টের শিক্ষক তো প্রাইভেটও পড়াতে পারেন না’
- ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৭
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়াসহ ৩ দফা দাবিতে ৯ দিন ধিরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা। দাবি আদায় হলে জীবনমানের কিছুটা উন্নতি হবে বলে মনে করছেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, তারা যৎসামান্য বেতন পান। এ নিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। মূল বেতনের সাথে ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা যোগ হলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জীবিকা হিসেবে স্কুল-কলেজ কিংবা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হতে বাধ্য হন তারা। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য একটা অংশ প্রাইভেট পড়ান। তবে শিক্ষকরা বলছেন, এটি একটি ধারণামাত্র। কারণ বেশিরভাগ বিষয়ের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগ নেই।
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে আসা হাজারীহাট আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো. সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিটি সরকার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে আমাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। কিন্তু কোনো মন্ত্রী, উপদেষ্টা বা সরকার কথা রাখেনি।
তিনি বলেন, আমাদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ কল্যাণ ফান্ড এবং অবসর ফান্ডের নামে কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু এ অর্থ আর ঠিকঠাক পাওয়া যায় না।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেতন দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে যায়। উপজেলা শহরেও তো বাসা ভাড়া অন্তত ১০ হাজার টাকা। ফলে শিক্ষকরা স্কুল-কলেজে পড়ানোর পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ান। কিন্তু অনেক সাবজেক্টের তো প্রাইভেটের চাহিদা নেই। তারা পড়াতে পারেন না।
এ অবস্থায়ও দিন চলে যায় বলে দাবি তার। বলেন, উপোস থেকেও দিন চলে যায়। কিন্তু চলার তো একটা ব্যবধান আছে। এক সময়ে এক হাজার টাকায় চলেছে, এখনও চলবে তা তো সঠিক না। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া উচিত।