এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি

মপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি সংহতে জানিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা
মপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি সংহতে জানিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা © টিডিসি সম্পাদিত

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি সংহতে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৯ অক্টোবর) এ বিবৃতিতে তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে এবং এ আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে পাশে থাকার ঘোষণা দিচ্ছে। জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের যে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়, তা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গভীর ব্যর্থতার প্রতিফলন।

শিক্ষকরা বর্তমানে অনশনরত অবস্থায় রয়েছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ও মানবিক। অথচ সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত মাত্র ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া এক নির্মম প্রহসন এবং শিক্ষকদের প্রতি চরম অবমাননা।

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এসএসসি পাস করে পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করলেই একজন কর্মী চাকরির শুরুতেই মাসিক প্রায় ২৭ হাজার টাকার বেতন পান। অন্যদিকে, অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী শিক্ষক, যিনি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে নিবেদিত, তিনি পান মাত্র ১২ হাজার টাকার কিছু বেশি সম্মানী। এ বৈষম্য শুধু বেতন কাঠামোর নয়- এটি শিক্ষকদের মর্যাদা, সম্মান ও রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের প্রতি এক নিদারুণ আঘাত ।

আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে শিক্ষকদের সমাবেশ আজ, বাড়ছে উপস্থিতি

দুঃখজনক হলেও সত্য, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষকরাই সর্বনিম্ন বেতন পান। এ বাস্তবতা যেমন লজ্জাজনক, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও ভয়াবহ সংকেত উল্লেখ করে, তারা শিক্ষকদের তিন দফা ন্যায্য দাবি ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ ও বাস্তবায়নের আহবান জানান। 

একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক আন্দোলনে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রিতা ও অবহেলা শিক্ষকদের মাঝে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। একটি জাতি তার শিক্ষক সমাজকে অবমূল্যায়ন করে কখনও উন্নত হতে পারে না। শিক্ষা ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এই সংকটের সমাধান করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।