জবি শিক্ষার্থী খুন

আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও শিক্ষার্থীদের 

আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও শিক্ষার্থীদের
আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও শিক্ষার্থীদের © টিডিসি ফটো

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা টিউশনিতে গিয়ে যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে এবার বংশাল থানা ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে।

আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বংশাল থানা ঘেরাও করা হয়। এর আগে রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। রাত ১১.৪০ মিনিট পর্যন্ত তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা, আমার ভাই মরলো কেনো প্রশাসন জবাব চাই, আমার ভাই কবরে খুনী কেনো বাহিরে, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। 

এদিকে রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিন রাত ১১ টার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ। 

জানা যায়, জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সাথে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫,নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রী ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিলো। তিন তলার সিড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিন বিকাল ৫ টার দিকে পুলিশ আসে ওই বাসায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে লালবাগ জোনের ডিসি এসে ছাত্রীর পরিবার ও বাসার অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। ছাত্রী ও তার বয়ফ্রেন্ডের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে ধারণা করছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।