৫,৩৮৯ দিন পর এমন কিছু দেখল বাংলাদেশ
- ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪২
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাট নিঃসন্দেহে ওয়ানডে ক্রিকেট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি ভুগছে লাল-সবুজেরা। শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতেই হেরে ফর্ম হারিয়ে ভুগছিল টাইগাররা। দুই বছর আগেও যেখানে ওয়ানডেতে অন্যতম শক্তিশালী দল ছিল বাংলাদেশ, এখন সেই ফরম্যাটেই সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে তারা।
লিটন-শান্তদের এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার প্রভাব পড়ে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও, নেমেছে দলটির অবস্থান। এবার অবশ্য, ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছে লাল-সবুজেরা। ২০৭ রানের পুঁজিতেও ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক জয় ছিনিয়ে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
লাল-সবুজের ওয়ানডে ইতিহাসে এত কম রানে এমন অপ্রত্যাশিত জয় খুব একটা নেই। সবশেষ ২০১১ বিশ্বকাপে এমন জয়ের গল্প লিখেছিল বাংলাদেশ, সেটাও আবার হোম অব ক্রিকেটেই। সেবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েও ২৭ রানে জিতেছিল স্বাগতিকরা। একই ভেন্যুতে আবারও ছোট পুঁজিতেই জয়ের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ, তবে ব্যবধান ৫ হাজার ৩৮৯ দিন।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে নানা সমালোচনা আছে, তবে বোলাররা সেই উইকেটেই নিজেদের ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছেন। সবমিলিয়ে এক হাজার ৪৬ দিন পর হোম অব ক্রিকেটে জয় স্বাগতিকদের, যা কি না আত্মবিশ্বাস ফেরানোর বড় ধাপ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
অবশ্য, ওয়ানডে ফরম্যাটে দুর্দশা কাটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতিই মূল লক্ষ্য টাইগারদের। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলও এতে দোষের কিছুই দেখছেন না। লাল-সবুজের প্রথম গ্লোবালস্টারের মন্তব্য, আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে আছি, হোম এডভান্টেজ তো নিতেই হবে। টেবিলের (র্যাংকিংয়ের) ১০-এ আছি, বিশ্বকাপ খেলতে ৯ নম্বরে যেতে হবে। এই ৩ ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এমন জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে রিশাদ হোসেন। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ২৬ রানের মারকাটারি ইনিংসের পর বল হাতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইনআপই ধ্বসিয়ে দেন এই লেগি। তার স্পিন-বিষে ৫ উইকেটে ১০১ রান থেকে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম স্পিনার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেন রিশাদ, ৩৫ রান খরচায় ৬ উইকেট তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার, যা তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কারও এনে দেয়।