হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন। রবিবার দুপুরে পাবনা সদর থানায়
যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজন। রবিবার দুপুরে পাবনা সদর থানায় © টিডিসি

পাবনা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার আবুল হোসেন (৩০), ভাঙ্গুড়া উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৪) পাবনা পৌর সদরের চক পৈলানপুর এলাকার মোত্তাকিন বিশ্বাস (৩৭)।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শনিবার রাতে পাবনা শহরের সদর হাসপাতাল-সংলগ্ন সেন্ট্রাল হাসপাতালে এক রোগীর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালেরর এক কর্মী ওই নারী রোগীকে যৌন হয়রানির করে বলে স্বজদের কাছে অভিযোগ করেন ওই রোগী। 
 
ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজন প্রতিবাদ করতে গেলে ভুক্তভোগীর রোগীর স্বজন পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র রেদোয়ান আহমেদ শুভর সঙ্গে প্রথমে হাসপাতালটির কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে বহিরাগতরা যোগ দিলে ছাত্রদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।

আরও পড়ুন: বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি কবে, সম্ভাব্য সময় জানাল এনটিআরসিএ

এ খবর সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ওই ছাত্রের সহপাঠীরা এসে হাসপাতালে অতর্কিত হামলা চালায় এবং হাসপাতালে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে এবং তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার পর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় হাসপাতালটির সব কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মোমিন সরদার বাদী হয়ে রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে একটি মামলা করেছেন। পরে আটক হাসপাতালটির তিন কর্মীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানে হয়েছে।