যেসব অভ্যাসে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি

ফাস্ট ফুড
ফাস্ট ফুড © সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে ক্যান্সার একটি ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্যমতে, প্রতি বছর কোটিরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং বহু মানুষ প্রাণ হারান। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন এনে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

যেসব অভ্যাসে বাড়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি:

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন
ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারই নয়, বরং মুখ, গলা, কণ্ঠনালী, কিডনি এবং মূত্রথলির ক্যান্সারেরও প্রধান কারণ। এমনকি চুন-জর্দা বা গুল ব্যবহার করলেও মুখ ও গলার ক্যান্সার হতে পারে।

অতিরিক্ত মদ্যপান
নিয়মিত ও মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে লিভার, স্তন, খাদ্যনালী ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহল কোষের DNA ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ক্যান্সারের দিকে ঠেলে দেয়।

অসুস্থ খাদ্যাভ্যাস
ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন: সসেজ, হটডগ), চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষত, কোলন ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।

শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা
নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব শরীরে চর্বি জমিয়ে দেয়, যা স্তন, কোলন ও জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করাই ভালো।

অতিরিক্ত রোদে থাকা
বিনা সানস্ক্রিনে দীর্ঘসময় রোদে থাকলে ত্বকে অতি বেগুনি রশ্মি (UV ray) সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

ঘুমের অনিয়ম
ঘুম কম হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যা স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

কেমিক্যাল ও বায়ুদূষণের সংস্পর্শ
কারখানার ধোঁয়া, গৃহস্থালী কীটনাশক, রঙ, প্লাস্টিক পোড়ানোর ধোঁয়া বা অ্যাসবেস্টস জাতীয় পদার্থ দীর্ঘমেয়াদে গ্রহণ করলে ফুসফুস, চর্ম এবং লিভারের ক্যান্সার হতে পারে।

করণীয়:
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান
শরীরচর্চা করুন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় রাখুন
সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন