‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভোটে হওয়া দরকার’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন © ফাইল ছবি

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভোটে হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিধান তৈরি হলে যোগ্য শিক্ষকরা নিয়োগ পাবেন। গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের  নিয়োগ ছিল, গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এমন কথা বলেছেন মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাহীন কোনও শিক্ষক কোথাও দায়িত্ব পায়নি। যারাই যেখানে দায়িত্ব পেয়েছে, তাদের সাথে কোনও না কোনও ফরমেটে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। তাহলে যে শিক্ষকরা রাজনীতি করে না, তারা কি উচ্চপদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না?’

আরও পড়ুন: কষ্টার্জিত কোটি টাকা নিজ বিভাগে দান—সততা, নিষ্ঠা ও ত্যাগে অমর ঢাবির এক শিক্ষক

মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নিয়োগ নীতিমালা তৈরি না করেই পলিটিক্যাল নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেহেতু দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের আলাপ হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কেন সংস্কার হবে না? বাংলাদেশে শিক্ষাখাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই খাতের পরিবর্তন ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের পরিপূর্ণতা পাবে না।’