জুলাই সনদ: নোট অব ডিসেন্টসহ পুরো সনদ দেখুন এখানে
- ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৪৪
দীর্ঘ এক বছরের সংলাপ, আলোচনা ও মতবিনিময়ের পর অবশেষে রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকার সম্বলিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে প্রতিফলিত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ও সংস্কারের প্রতি যৌথ প্রতিশ্রুতি।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়া ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে এই ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষর করেন। বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা আধা ঘণ্টার বেশি বিলম্বিত হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই সনদ পাঠ্যবইয়ে থাকবে: ড. ইউনূস
ঠিক সাড়ে ৪টায় ব্যান্ডদলের বাদ্যের তালে মঞ্চে প্রবেশ করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে স্বাগত জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর রাজনৈতিক দলের নেতারা মঞ্চে যোগ দেন। বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে জুলাই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
তবে দেশের সব দল এতে অংশ নেয়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঐকমত্যের সংলাপে অংশ নিলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি ‘অস্পষ্ট’ হওয়ায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। এ ছাড়াও ইতিহাসের উপস্থাপন পদ্ধতি ও সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বাম ধারার চারটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। চারটি বাম দলও সনদে সই না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জুলাই সনদের নোট অব ডিসেন্টসহ পুরো সনদ দেখুন এখানে। অনেকে এটিকে ভবিষ্যতের রাষ্ট্র কাঠামো ও রাজনৈতিক সংস্কারের ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। সনদে সই করার পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। এটি সারা বিশ্বের কাছে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’