চবির দুই হল সংসদের ফল পুনর্গণনার ঘোষণা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন কমিশন সোহরাওয়ার্দী হল ও অতীশ দীপঙ্কর হলের ব্যালট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ. কে. এম. আরিফুল হক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন দুটি হলে ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফলের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

অধ্যাপক আরিফুল হক আরও জানান, কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় উভয় হলের ব্যালট এজেন্টদের উপস্থিতিতে পুনর্গণনা করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে চাকসু ও হল সংসদের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে দেখা যায়, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি-জিএসসহ মোট ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে।

এ ছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক নির্বাচিত হয়েছেন। ফলাফলে দেখা গেছে, ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহিম রনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট, জিএস পদে একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট, এবং এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট।

ভিপি ইব্রাহিম রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী, জিএস সাঈদ বিন হাবিব একই বিভাগের ২০১৯–২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১–২২ সেশনের শিক্ষার্থী।

এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ তিন যুগ পর চাকসুর ভিপি হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি, জিএস হয়েছেন সাঈদ বিন হাবিব, আর এজিএস হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ ১৩টি প্যানেল থেকে মোট ৯০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল সংসদের ১৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৭ হাজার ৫১৬ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন।