চাচার লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল ভাতিজির

তাননুর আক্তার নাবিল ও ঘাতক চাচা হাবিল খান
তাননুর আক্তার নাবিল ও ঘাতক চাচা হাবিল খান © সংগৃহীত

বরগুনার তালতলী উপজেলায় আপন চাচার লাঠির আঘাতে ছয় বছরের ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় চাচা হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত শিশুটির নাম তাননুর আক্তার (৬)। সে ইদুপাড়া এলাকার জেলে দুলাল খানের মেয়ে এবং লালুপাড়া আইডিয়াল স্কুলের কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাননু স্থানীয় ফরেস্ট অফিসের পাশে রানা হাওলাদারের মুদি দোকানে রুটি কিনতে যায়। এ সময় তার চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান (২৮) পেছন থেকে লাঠি দিয়ে শিশুটির মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রকিবুল ইসলাম তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পথেই তার মৃত্যু হয়।

পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত শিশুর বাবা দুলাল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০১৫ সালে আমার ছোট ভাই হাবিল আমার স্ত্রীকে হত্যা করে। ১০ বছর সাজা ভোগের পর মুক্তি পায়। এখন এক বছরের মাথায় আমার ছোট মেয়ে তাননুকে মেরে ফেলেছে। আমার জীবনে কিছুই রইল না। আমি ঘাতক হাবিলের ফাঁসি চাই।’

ইউপি সদস্য টুকু সিকদার জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা হাবিলকে ধাওয়া দিলে সে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘ঘাতক হাবিল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুর বাবা দুলাল খান বাদী হয়ে হাবিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।’