‘তোমারে-আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা— মাকে জড়িয়ে কেন কাঁদছেন রিপন?
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:২৩
নেত্রকোণার জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া। তিনি ‘রিপন ভিডিও’ নামেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত। সহজ-সরল জীবনযাপন, চিন্তামুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানো ও ছন্দাকারে বাস্তবধর্মী বিভিন্ন কথাবার্তার কারণে খুব অল্প সময়েই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন কাঠমিস্ত্রি রিপন। তবে সম্প্রতি তাকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, তিনি অনলাইনে কন্টেন্ট তৈরি করে স্বাবলম্বী হলেও তার বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর নেন না। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। যে কারণে রিপন মিয়াকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চা হচ্ছে।
মা-বাবাকে দেখাশোনা সংবলিত সংবাদ প্রকাশের দিনই আবার মায়ের কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যা ফের নেটিজেনদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। আঞ্চলিক টানে বলতে শোনা যায়, ‘তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? তুমি ইড্ডা কী করলা? আমার জীবনডা শেষ করলা!’
এ সময় মাকেও ছেলে রিপনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। এ ভিডিওটি প্রকাশের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। যারা সমালোচনা করছিলেন, তাদের অনেকেই লিখেছেন, ‘মা-ছেলের সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র। সাময়িক ভুল–বোঝাবুঝি মিটে যাক।’
আরও পড়ুন: অভিনয় শেখাতে রিপনকে ঢাকায় এনে অবশেষে পুলিশে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মীর লোকমান
রিপন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা নিয়ে কথা বলার মানসিক অবস্থায় আমি নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব। আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখে এসেছি। ভবিষ্যতেও দেখে যাব। আমার যদি কোনো ঘাটতি থাকে তা–ও পূরণ করব। তবে আমার সরল বাবা-মাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার একদিন হবে।
এর আগে, গত সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রিপন মিয়া দাবি করেন, কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করে। পরিবারকে হেনস্তা করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ একাধিক ফেসবুক পেজ ও চ্যানেল প্রচার করে একটি প্রতিবেদন। সেখানে রিপনের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘খুব কষ্ট করে মানুষ করছি। কিন্তু এখন পরিচয় দেয় না। আমরা গরিব। পরিচয় দিলে যদি ওর মানসম্মান না থাকে!’
খবরে বলা হয়, জনপ্রিয়তার চূড়ায় ওঠা রিপন এখন মা–বাবার সঙ্গে থাকেন না; আলাদা পাকা বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন, কিন্তু মা-বাবাকে ভরণপোষণ দেন না।