আমাদের আন্দোলন সফলতার দিকে যাচ্ছে : আজীজি

জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি © টিডিসি ফটো

আমাদের আন্দোলন সফলতার দিকে যাচ্ছে ইনশাল্লাহ বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি। এ সময় তিনি বলেন, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়াসহ তিন দফা দাবি থেকে একচুলও নড়বো না।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তিনি এ ঘোষণা দেণ।

দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, ব্লকেড কর্মসূচি ১২টায় হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে শহীদ মিনারে আসবেন। সেজন্য শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি পেছানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০ শতাংশ মানে ২০ শতাংশ, মেডিক্যাল ভাতা ১৫০০ টাকা মানে ১৪৯৯ টাকার নয় ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ মানে ৭৪ শতাংশ নয়। এ তিন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া যাবে না। তিন দফা দাবি থেকে আমরা একচুলও নড়ব না।

আরও পড়ুন: শাহবাগ অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা

এদিন সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকেন। দাবি আদায়ে তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ‘বেতন বৈষম্য দূর করো’, ‘শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করো’ এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে শহীদ মিনার এলাকা। কানায় কানায় পূর্ন হয়ে গেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। অনেকে আশেপাশের সড়কগুলোর গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। সরকার তাদের দাবিগুলো আমলে নিচ্ছে না বলেই তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তারা বলেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না হয় তাহলে শাহবাগ অবরোধ করা হবে বলে আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের কথা আমলে না নিয়ে আমাদের অসহযোগিতা করছে। অথচ আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। এই সহযোগিতাকে যদি তারা দুর্বলতা ভাবেন তাহলে আমরাও দাবি আদায় ছাড়া সড়ক ছাড়ব না। দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। অবরোধে শিক্ষকদের ওপর যদি পুলিশ হামলা চালায় তাহলে শিক্ষকরা আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগেুলো হলো- মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান।