বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অ্যালামনাইসহ সবাইকে পাশে চাই: ঢাবি উপাচার্য
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:২৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, শুধুমাত্র সরকারি টাকার ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোসমূহের সংস্কার ও উন্নয়ন পূর্ণাঙ্গভাবে করা সম্ভব নয়। এ কাজে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই ও যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করেন, তাদের পাশে চান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে আমরা পুরো বাংলাদেশের মানুষকে পাশে চাই। এবার আমাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ডাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিরাও আছেন। আর আমি জানি, আপনারা আমার কিংবা আমাদের পাশে আছেন। সেই হিসেবে আমরা এক কদম করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস উপলক্ষে নিহত ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত শোক ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সভায় ঢাবি উপাচার্য বলেন, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের সেই মর্মান্তিক ঘটনা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সারা বাংলাদেশের মানুষকে একীভূত করেছিল। সেদিন সর্বস্তরের মানুষের রক্তদান ও উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঐক্য প্রশংসনীয় ছিল। আমরা বিশ্বাস করি, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠেছিল, তার নির্যাস এখনো রয়েছে। সেই কারণেই আজ আমরা একসঙ্গে হতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: সাদেকা হালিম-জিনাত হুদা-মশিউর-জামালসহ ৬ আওয়ামীপন্থী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সভায় উপাচার্য আরও বলেন, এই হলটিকে (জগন্নাথ হল) আমরা আলাদা করে মর্যাদা দিই। আমরা আশা করি, স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাব।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পালিত শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল— সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন, সকল হল ও হোস্টেলে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং কালো ব্যাজ ধারণ; সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র্যালি সহকারে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন।
এছাড়া সকাল ৮টায় অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে আলোচনা সভা, ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনাসভা এবং বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদুল জামিআসহ সকল হল মসজিদে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এর বাইরে, হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিহতদের প্রতিকৃতি চিত্র ও তথ্যপ্রমাণাদি প্রদর্শনের কথা রয়েছে।