শাহবাগ অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা

অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা
অবরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষকরা © টিডিসি ফটো

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দাবিতে কর্মবিরতি করে টানা কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে নানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে শাহবাগ ব্লকেডের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষকদের দেওয়া আল্টিমেটাম শেষ হওয়ায় তারা শাহবাগ ব্লকেডের প্রস্তুতি নিতে শহীদ মিনারে বিপুল সংখ্যাক শিক্ষক জড়ো হয়েছেন। তবে ব্লকেড কর্মসূচি কিছুটা বিলম্বে শুরু হবে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বলেন,‌ বেলা ১২টা ৪৫মিনিটে এনসিপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আসছেন। এ জন্য ব্লকেড শাহবাগ কর্মসূচি কিছুটা বিলম্বে শুরু হবে, ইনশাআল্লাহ।’

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শিক্ষকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকেন। দাবি আদায়ে তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ‘বেতন বৈষম্য দূর করো’, ‘শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা করো’ এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে শহীদ মিনার এলাকা। কানায় কানায় পূর্ন হয়ে গেছে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। অনেকে আশেপাশের সড়কগুলোর গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক নর্থব্রুক হল, নাট্যমঞ্চ ভেঙে গড়ে উঠছে জাদুঘর!

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। সরকার তাদের দাবিগুলো আমলে নিচ্ছে না বলেই তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। তারা বলেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন না হয় তাহলে শাহবাগ অবরোধ করা হবে বলে আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের কথা আমলে না নিয়ে আমাদের অসহযোগিতা করছে। অথচ আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। এই সহযোগিতাকে যদি তারা দুর্বলতা ভাবেন তাহলে আমরাও দাবি আদায় ছাড়া সড়ক ছাড়ব না। দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। অবরোধে শিক্ষকদের ওপর যদি পুলিশ হামলা চালায় তাহলে শিক্ষকরা আন্দোলনের মাধ্যমে এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। 

শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগেুলো হলো- মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা প্রদান। 

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে অভিমুখে করা লং মার্চ শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে হাইকোর্টের সামনে শিক্ষকরা বসে পড়েন। এ সময় প্রেস ক্লাব ও আশপাশের সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারী মানুষ। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে শহীদ মিনারে ফিরে আসেন তারা।