ঝুঁকিপূর্ণ কুয়েটের ইইই ভবন, ব্যাহত শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম
- ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৮
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ভবন বর্তমানে পাঠদানের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। নানা অবকাঠামোগত সমস্যা, সরঞ্জামের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্লাসরুম সংকট এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা। ২০২৪ ব্যাচের জন্য আলাদা ক্লাসরুম না থাকায় দুইটি সেকশনকে একই সেমিনার রুমে ক্লাস করতে হচ্ছে, যা কার্যকর শিক্ষার জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
এছাড়াও ভবনের দেওয়ালে দেওয়ালে ড্যাম ও ফাটল, জায়গায় জায়গায় রঙ খসে পড়া, এবং ভেতরের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের ছেলেদের ওয়াশরুমের অবস্থা আরও করুণ। অধিকাংশ সময় নোংরা থাকে, বেসিন ভাঙা, ফ্লোরে পানি জমে থাকে, এবং সেখানে টিস্যু বা হ্যান্ডওয়াশ পাওয়া যায় না। অন্যদিকে খাবার পানির ব্যবস্থাও অপ্রতুল, পানির সাথে প্রায়ই বালু ও ময়লা মিশে আসে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বেশ কয়েকটি ক্লাসরুমে চেয়ার-টেবিলের সংকট রয়েছে, ফলে অনেককে টুলে বসে ক্লাস করতে হয়। কিছু রুমে এসি থাকলেও কাজ করে না, আবার অনেক জায়গায় লাইটিং সমস্যার কারণে বোর্ডে আলো প্রতিফলিত হয়ে দেখা যায় না। অনেক রুমে মাইক্রোফোন বিকল বা নয়েজ করে, যার ফলে ক্লাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে স্মার্ট বোর্ড, কার্যকর এসি এবং উন্নত অডিও সিস্টেমসহ ক্লাসরুমের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। ফলে সব ব্যাচ একই রুমে ক্লাস করতে চাওয়ায় সমন্বয় ও সময়সূচিতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মতে, এ অবস্থায় পাঠদান অব্যাহত রাখা শুধু শিক্ষার মানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আশা করা যায়, ২০২৬ সালের শেষের দিকে নতুন ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।