পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে ঢুকছেন আন্দোলনকারীরা
- ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৭
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ নিয়োগ না পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।
পরে তিনটার দিকে তারা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করতে হবে।
তারা বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৬০ হাজার ৫২১ জনকে চূড়ান্তভাবে যোগ্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট প্রকাশিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ফল অনুযায়ী লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে সুপারিশ দেওয়া হয়। এতে ১৫ হাজারের মতো চূড়ান্ত উত্তীর্ণ প্রার্থী নিয়োগের বাইরে থেকে যান। সর্বোচ্চ মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েও নিয়োগ না পাওয়ায় এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থী এখন প্রচণ্ড হতাশা, মানসিক চাপসহ পারিবারিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার।
প্রার্থীরা দাবি করেন, যেখানে এখনও ৬০ হাজারের বেশি পদ শূন্য, সেখানে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না পাওয়া অন্যায় ও অযৌক্তিক। তারা আরও জানান, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সংকট নিরসনে ১৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে নিয়ে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ।
এবারও একইভাবে ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ বঞ্চিত প্রার্থীদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিলে তা শিক্ষক সংকট নিরসনসহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করবে।
চাকরিপ্রার্থীদের ২ দাবির মধ্যে রয়েছে- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদ যুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুপারিশ বঞ্চিত ১৬,২১৩ জনকে নিয়োগ দিতে হবে এবং নীতিমালা পরিবর্তনের পূর্বে সুপারিশ বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়োগের লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা তুলে দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী শূন্য পদ যুক্ত করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে।