স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে জামায়াতের প্রতি ভোটাররা সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট: জরিপ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী © লোগো

স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং তৃতীয় অবস্থানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে দেখা গেছে। 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশিত ভয়েস ফর রিফর্ম-এর একটি জরিপে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। 

শতভাগ সন্তুষ্টি
জরিপে দেখা যায়, স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমের বিবেচনায় বিএনপির প্রতি ৮ দশমিক ২ শতাংশ, আওয়ামী লীগের প্রতি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি ৯ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ শতভাগ সন্তুষ্ট। তবে জামায়াতের কার্যক্রমের প্রতি সবচেয়ে বেশি মানুষের সন্তুষ্টি রয়েছে। যেটির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। 

অনেক সন্তুষ্টি
বিএনপির প্রতি ১২ দশমিক ৮ শতাংশ, আওয়ামী লীগের প্রতি ৯ দশমিক ২ শতাংশ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ শতভাগ সন্তষ্ট। অন্যদিকে, জামায়াতের প্রতি ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ অনেক সন্তুষ্ট। 

মোটামুটি সন্তুষ্টি
শতভাগ ও অনেক সন্তুষ্টির বিবেচনায় স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে জামায়াত এগিয়ে থাকলেও মোটামুটি সন্তুষ্টি বিবেচনায় দল হিসেবে বিএপি এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে জরিপে দেখা গেছে, বিএনপির প্রতি ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ মোটামুটি সন্তুষ্ট। যেখানে জামায়াতের প্রতি ১৭ শতাংশ মানুষ মোটামুটি সন্তুষ্ট। এক্ষেত্রে জামায়াত বিএনপির তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। 

এছাড়া, আওয়ামী লীগের প্রতি ১০ দশমিক ৬ শতাংশ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ মোটামুটি সন্তুষ্ট। 

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ নামের নতুন একটি নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গত ৪ অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে নানা অঙ্গনে সংস্কার বিষয়ে ‘মেরামত আলাপ’ শিরোনামে গুণগতমানের আলোচনা শুরু করে।

এ প্ল্যাটফর্মে ১৩ জন সহ–আহ্বায়ক আছেন। তাদের একজন হলেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহীদুল আলম। প্ল্যাটফর্মটির সহ-আহ্বায়ক হিসেবে অন্য যারা আছেন, তারা হলেন- মানবাধিকারকর্মী অশোক বড়ুয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজিফা জান্নাত, তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, আইনজীবী ও সংবাদকর্মী মানজুর-আল-মাতিন, প্রকাশক ও গবেষক মাহরুখ মহিউদ্দীন, অধিকারকর্মী মুক্ত শ্রী চাকমা, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ সাইয়ীদ কবীর, সাংবাদিক ও ই-আরকি সম্পাদক সিমু নাসের, রাজনৈতিক কর্মী সৈয়দ হাসিব উদ্দীন হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শাহিনুর সুমি এবং শ্রম অধিকার কর্মী মো. রুহুল আমিন।