নবীনদের সঙ্গে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরও আসন বরাদ্দ, ক্ষোভ প্রকাশ
- ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২১:২৮
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলে গোপনে ছাত্রদলের সিট বরাদ্দের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আবাসিক হলে ছাত্রদলকে আসন দিতে আসনপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ না করে বিলম্ব করা হচ্ছে। অন্য হলে প্রায় ১৫ দিন আগেই সিট বরাদ্দ দেওয়া হলেও শাহপরান হলে নানা অজুহাতে বিলম্ব করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নিয়মানুযায়ী ২০ শতাংশ আসন নবীন শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা৷ কিন্তু শাহপরাণ হলে নবীনদের পাশাপাশি ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরও আসন দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনের নির্দেশে কিছু ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকে আসন দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তালিকাও প্রকাশ করছে না কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রাইভেট ফেইসবুক গ্রুপে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুবাশ্বির আহমেদ লেখেন, ‘শাহপরান হলের সিট বন্টন সম্পর্কে সাস্টিয়ানরা অবগত আছেন? পুরাতন মদের বোতলে এতদিন পানি ভরে পান করে দেখালেও নতুন করে আবার মদের আমদানি শুরু হয়েছে। সবাইকে সচেতন থেকে হলের সিট বন্টনে অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের জন্য অনুরোধ রইল। আমরা আমাদের জুনিয়রদের জন্য একটা শতভাগ নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং হল রেখে যেতে চাই। এক্ষেত্রে কোনো আপোষ করা হবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহপরান হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অন্য হলে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও শাহপরান হলের তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গতকাল আমরা জানতে পারলাম শাহপরাণ হলে ছাত্রদলের তিনজন ভর্তি হচ্ছে। কোন ক্রাইটেরিয়াতে তারা আসন পাচ্ছে আমরা জানতে চাই।’
এ বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাহাত জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থী হিসেবে সিট বরাদ্দ পেতেই পারে কিন্তু ছাত্রদল হিসেবে কেউ সিট পেয়েছে আমার জানা নেই।’
ছাত্রদলকে সিট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কিছুই করিনি। এখানে আমার কোন ডিরেক্ট হস্তক্ষেপ নাই। আসন বরাদ্দ কমিটির সুপারিশে আসন বরাদ্দ এটা আমি দ্বিমত পোষণ করছি না। কিন্তু আসন বরাদ্দ কমিটি এটা স্থগিত করায় পুনরায় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে আবার প্রকাশ করা হবে। সে জন্য সকল শিক্ষার্থীকে আমরা শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’