চাকসু নির্বাচন

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী, প্রয়োজনে ৩ মিনিটে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে

চাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন
চাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন © টিডিসি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ বহুমুখী নিরাপত্তা পরিকল্পা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রিয়কর ঘটনা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ক্যাস্পাসে আশপাশে অবস্থান করবে সেনাবাহিনী, প্রয়োজনে ৩ মিনিটে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে তারা।

রবিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয় ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে চাকসু নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের দিন পাঁচটি ভবনের ১৫টি হলের জন্য কেন্দ্র থাকবে ৬০টি। ভোট গ্রহণ হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিটি ভবনের ডিনকে রিটার্নিং অফিসার এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে স্টুডেন্ট ছাড়া বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না। 

আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়া ট্রান্সপোর্টের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রবেশপথে প্রতিদিন টহল দিচ্ছে দুইটি করে টহল টিম। 

আরও পড়ুন: মঙ্গলবার নয়, কাল থেকেই কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা শিক্ষকদের

তিনি আরও বলেন, ১৩ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বাহিরের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বহিরাগতদের প্রবেশেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে আইডি কার্ড বহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম যৌথভাবে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবে। ৫টি ভবনের জন্য আলাদা নিরাপত্তা স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোনো নিরাপত্তাকর্মী কাউকে ভবনে প্রবেশ করতে দেবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর পর আমরা চাকসু নির্বাচনের আয়োজন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই নির্বাচন হয় না। আমরা এটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এই নির্বাচন যেন একটি স্বচ্ছ, ইনক্লুসিভ নির্বাচন হয়, তা আমরা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করছি। নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।