দক্ষিণ এশিয়ার যে ৬ দেশের সাত শতাংশ চাকরি খাবে এআই
- ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৭
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থানের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশ—ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় মোট চাকরির প্রায় সাত শতাংশ এআই প্রযুক্তি দখল করে নিতে পারে।
‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: জবস, এআই অ্যান্ড ট্রেড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এআই ব্যবহারের ফলে বিশেষ করে মাঝারি শিক্ষিত ও তরুণ কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়বেন। উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি—বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, এমন দেশগুলোর প্রায় ১৫ শতাংশ চাকরি এআই আগ্রাসনে হারিয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যবসা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের কারণে অফিসের বিভিন্ন কাজ কমে যাবে। এতে হিসাবরক্ষণ (অ্যাকাউন্টস) ও গ্রাহকসেবা (কাস্টমার সার্ভিস) বিভাগে কর্মরতরা চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন। একই সঙ্গে বেশি বেতনের দক্ষ কর্মীরাও এই প্রভাবের বাইরে থাকবেন না। তবে নিম্ন আয়ের কর্মীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে থাকবেন, আর অভিজ্ঞ কর্মীদের ক্ষেত্রেও চাকরি হারানোর সম্ভাবনা কম।
বিশ্বব্যাংক মনে করছে, একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের আগমনে যেমন বড় পরিবর্তন এসেছিল, এবার এআই সেই পরিবর্তনকে আরও গভীর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে এআই শুধু তথ্য অনুসন্ধানই নয়, প্রবন্ধ লেখা, ছবি আঁকা, এমনকি চলচ্চিত্র বা গল্প তৈরির কাজও করছে। এক সময় ধারণা করা হতো, সৃজনশীলতার জায়গায় মানুষকে এআই কখনোই প্রতিস্থাপন করতে পারবে না। কিন্তু এখন সেটিই বাস্তবে ঘটছে।
তবুও প্রশ্ন রয়ে গেছে—এআই কি একদিন সত্যিকারের ছকভাঙা সৃজনশীল কাজ করতে পারবে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ জেফ্রি হিন্টন এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি।