হামজাকে অধিনায়ক করার পরামর্শ সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের

হামজা চৌধুরী
হামজা চৌধুরী © ফাইল ছবি

অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নেতৃত্বের দায়িত্বে আছেন জামাল ভূঁইয়া। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শুরুর একাদশে তাঁর জায়গা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে মাঠে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিতে হয় তপু বর্মণ বা সোহেল রানাকে।

৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে নেতৃত্বে ছিলেন সোহেল রানা। কিন্তু মাঠে যে খেলোয়াড় সত্যিকার অর্থে দলকে এক সুতোয় গেঁথে রেখেছিলেন, তিনি ছিলেন হামজা চৌধুরী। তাঁর প্রাণবন্ত উপস্থিতি, মাঠে দিকনির্দেশনা ও খেলায় নিয়ন্ত্রণ সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের নজর এড়ায়নি।

অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক মনে করেন, বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে হামজার মতো প্রাণবন্ত ও কৌশলী খেলোয়াড় প্রয়োজন। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় হামজা চৌধুরীকে অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া উৎসব এসে সাংবাদিকদের আমিনুল বলেন, ‘হামজার মতো একজন ফুটবলার যদি অধিনায়কত্ব করে তাহলে বাংলাদেশ দল অনেকটাই নির্ভার হবে। তার নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাগুণ রয়েছে তিনি লেস্টার সিটি ক্লাবে অধিনায়কত্ব করেছেন।’

হামজাকে অধিনায়ক করলে কেউ দ্বিমত হবে না বলে মনে করেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাফজয়ী খেলোয়াড় আমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বর্তমানে একেক জন একেক সময় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে কনফিউশন বা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। হামজা অধিনায়ক হলে কেউ দ্বিমত হবে না এবং আরও উৎসাহিত হবে। ফেডারেশন, টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা ভবিষ্যতে হামজাকে অধিনায়কত্ব দায়িত্ব দিলে বাংলাদেশের ফুটবলে ইতিবাচক দিক উন্মোচন হবে।’

নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে মনোবিদ শরণাপন্ন হয়েছেন আমিনুল। সাবেক এই অধিনায়কের মতে, জাতীয় দলে মনোবিদ রাখা দরকার। তাঁর ভাষ্য, ‘প্রতি জাতীয় দলে মনোবিদ থাকা প্রয়োজন। ম্যাচে যেন মানসিকভাবে চাপ নেওয়া না হয় এ জন্য খেলোয়াড়দের মানসিক পরিবর্তনে একজন মনোবিদ নিয়োগ দিতে পারে। স্টেডিয়ামে অনেক দর্শক-সমর্থক থাকলেও খেলোয়াড়েরা স্নায়ুচাপে ভুগবেন না। আমি খেলোয়াড়ি জীবনে মনোবিদের পরামর্শ নিয়েছি অনেকবার।’