আনন্দিত এবং একই সঙ্গে ভীত গাজার এক মা
- ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:১৯
গাজার বাসিন্দা বছর ২২-এর লায়লা এজ্জাত আল শানা জানিয়েছেন, যুদ্ধ বিরতির খবরে তিনি আনন্দিত। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি শোকেও আচ্ছন্ন।
যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে এই খবর পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটে হামলা হয়। এই ঘটনায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন।
গাজার এই মা বলেছেন, "আজ দিনটি খুব সুন্দর ছিল, কারণ তারা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।"
"লোকে চিৎকার করছিল, গান গাইছিল। কিছু মানুষ আনন্দের জন্য আকাশে বন্দুক ছুঁড়ছিল, কয়েকজন নারী কাঁদছিল।"
এই উদযাপনের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, "দুই বছর পরও আমরা বেঁচে আছি! আমরা এই গণহত্যা থেকে বেঁচে গেছি।"
তার অভিযোগ শেষ ঘণ্টাগুলোতেও ইসরায়েল "গণহত্যা" অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের তরফে বোমাবর্ষণের শব্দ সারা দিন ধরেই অব্যাহত ছিল।
যুদ্ধে চলাকালীনই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন আল শানা। এই সময়কালে পরিবারের অনেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তার বাবা, চাচা এবং বেশ কয়েকজন চাচাতো ভাইবোনও রয়েছেন।
তিনি তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ মুহূর্তটির কথা বর্ণনা করেছেন। বাড়িতে তার নবজাতককে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন, সেই সময় তার বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় বোমা বর্ষণ হয়।
তিনি বলেছেন, "হঠাৎ বোমা হামলার বিকট শব্দ শুনতে পাই এবং দেখি ঘর ধুলোয় ভরে গেছে।"
"একটা সময় আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না, কিছুই শুনতে পাচ্ছিলাম না। আমার ছেলে এবং আমি ঘরেই ছিলাম। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম যে আমরা ঘরের ভেতরে রয়েছি। সেই রাতে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলাম আমরা।"
তবে ভবিষ্যতের বিষয়ে তিনি আশাবাদী। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করতে গাজা-মিশর সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সুত্র: বিবিসি বাংলা