দিল্লিতে শেখ হাসিনার প্রকাশ্য উপস্থিতির দাবিতে ৭ বছরের পুরোনো ভিডিও প্রচার

শেখ হাসিনার প্রকাশ্য উপস্থিতির দাবিতে ৭ বছরের পুরোনো ভিডিওর স্ক্রিনশট
শেখ হাসিনার প্রকাশ্য উপস্থিতির দাবিতে ৭ বছরের পুরোনো ভিডিওর স্ক্রিনশট © সংগৃহীত

২০২৪ সালের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়, এটি দিল্লিতে শেখ হাসিনার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রকাশ্যে দেওয়া সাম্প্রতিক বক্তব্যের দৃশ্য। ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার বিষয়টি উদঘাটন করেছে।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান অনুযায়ী, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়; বরং, এটি ২০১৮ সালের পুরোনো ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Sadeq Sibli’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ছবি পাওয়া যায়, যা আলোচিত ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

আরও অনুসন্ধানে একই দিনে ‘Ifjal Chowdhury’ নামের আরেকটি ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যা আলোচিত ভিডিওর সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে মিলে যায়। উভয় ভিডিও পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এগুলো একই ঘটনার ভিন্ন কোণ থেকে ধারণ করা।

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে: নাহিদ

এছাড়া, ‘MG Mawla’ নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইলে একই দিনে একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও পাওয়া যায়। পোস্টের শিরোনামে উল্লেখ করা হয়, এটি জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার বিদায়কালীন ভিডিও।

সম্প্রতি আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে
২০১৮ সালের ভিডিওর সাদৃশ্য

দাবিকৃত ভিডিওর সঙ্গে ২০১৮ সালের দুটি ভিডিও এবং একটি ছবির তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেখ হাসিনার পোশাক, আশপাশের ব্যক্তিদের অবস্থান ও পোশাক এবং ভবনের অবকাঠামোর মধ্যে হুবহু মিল রয়েছে।

অন্যদিকে, ডেইলি স্টারের ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এছাড়া, ২০১৮ সালের ০১ অক্টোবর যুগান্তরের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনা সেদিন সকালে দেশে ফিরেছিলেন।

সুতরাং, ২০১৮ সালের পুরোনো ভিডিওটিকে সম্প্রতি দিল্লিতে শেখ হাসিনার প্রকাশ্যে উপস্থিতির দাবিতে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।