বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে বাস দিচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস © সংগৃহীত

আগামী শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ৪৯তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুবিধার্থে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকাগামী ৬টি বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে এ সম্পর্কিত তথ্য জানানো হয়। তথ্যে আরও জানানো হয়, পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া কোন শিক্ষার্থী এ বহরে যাতায়াত করতে পারবে না।

জানা যায়, ৪৯তম বিশেষ বিসিএস-এর সকল কেন্দ্র রাজধানীতে হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে যাতায়াত সুবিধার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়। এতে প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে স্মারকলিপি প্রদান করেছিল।

‘ছাত্রশিবির, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়-জাককানইবি’ নামক ফেসবুক পেইজ থেকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা নিরূপণে জরিপ করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন শতাধিক পরীক্ষার্থীর জন্য ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাস থেকে আগারগাঁও এ ২ রুটে ৩টি করে মোট ৬টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসগুলো আগামীকাল (১০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্য থেকে ভোর সাড়ে ৪টায় গন্তব্যে যাত্রা শুরু করবে। 

ছাত্রশিবির কর্তৃক প্রকাশিত বাসের সিটপ্ল্যানে দেখা যায়, প্রতিটি বাসের প্রথম অংশে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর গন্তব্য অনুযায়ী বাস নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মারুফার ইনসুইং আতঙ্কের নাম, ক্রিজে দাঁড়ালে যেন ‘ঝড়’ ওঠে

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ‘এই উদ্যোগটা আমাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হয়েছে৷ বিশেষ করে ঢাকা যেতে একের অধিক গাড়ি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে আমার মতো যারা ঢাকার রাস্তাঘাটের সাথে পরিচিত কম তাদের জন্য এটা অনেক সুবিধা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমি মনে করি এই উদ্যোগ আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়িত্ববোধ বাড়িয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজা ইয়াসমিন পপি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কথা হচ্ছে আমাদের ভোগান্তি কম হচ্ছে এবং সব শিক্ষার্থীরা একসাথে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারতেছি। তাছাড়া আমি তো মেয়ে আর মতো যাদের ঢাকায় রিলেটিভস নেই, থাকার মতো পরিচিত তেমন জায়গা নেই তাদের জন্য এই উদ্যোগ অনেক বেশি সুবিধাজনক হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে বাসের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এ নিয়ে আমরা পরিবহন প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। আমরা চেয়েছি যাদের এডমিট কার্ড আছে তারা যেন সবাই বাসে যাতায়াত করতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবির বলেন, ‘মূলত প্রশাসনই এই পরিবহন সেবাটা নিশ্চিত করেছে। ছাত্রশিবির পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন করতে সহযোগিতা করেছে। প্রথমে আমরা প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত হতে অনলাইন ফর্মে তথ্য নিয়েছি। এরপর পরীক্ষার্থীদের গন্তব্য অনুযায়ী সিটপ্ল্যান করেছি। আমরা মূলত পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে এবং যাত্রাকে আরামপ্রদ করতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি।’

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমরাও মনে করেছি শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদন পেয়েছি, এ নিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করেছিলাম। উপাচার্য স্যারের নির্দেশনায় আমরা ব্যবস্থাপনা করেছি।’