ঢাবি ছাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হলের বাজেট অনুমোদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও কার্জন হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও কার্জন হল © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে ২৪৪ কোটি টাকা (প্রাক্কলিত ব্যয়) ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল’ নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে চীন সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ছাত্রী একসঙ্গে হলটিতে থাকার সুযোগ পাবে। এটি হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের অর্থায়নে নির্মিত প্রথম হল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাবি প্রশাসন জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কয়েক মাস আগে ইআরডি একটি অফিসিয়াল প্রস্তাবনা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে চীন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করে। সম্প্রতি চীন সরকার প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। বর্তমানে প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর চীনের একটি বিশেষজ্ঞ দল দ্রুতই ঢাকায় এসে সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন করবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন ও কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এটি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের অর্থায়নে নির্মিত প্রথম ছাত্রী হল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, চীন সরকারের সহযোগিতায় এ ধরনের একটি হল নির্মাণ প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হবে। এটি ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা চীনা দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, যাতে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যায়।