এবারও পরিকল্পনায় নেই বাবর আজম!
- ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১১
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমান আলি আগার পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যদিও এখনো তার পাশে রয়েছেন প্রধান কোচ মাইক হেসন ও নির্বাচকরা, তবু বোর্ডের উচ্চপর্যায়ে তার নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি-কিন্তু রয়েছে। পিসিবি সূত্র জানায়, সভায় বলেন মাইক হেসন, “অধিনায়কত্বে স্থিতিশীলতা দরকার। সময় দিলে ফল আসবে।”
সম্প্রতি এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তান উঠলেও, ভারত বিপক্ষে টানা তিন পরাজয়ে সমালোচনার তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে, অধিনায়ক হিসেবে সালমানের সিদ্ধান্ত এবং ব্যাটিং পারফরম্যান্স প্রশ্নবিদ্ধ। পুরো টুর্নামেন্টে ৭ ম্যাচে মাত্র ৭২ রান করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় ১২ ও স্ট্রাইক রেট মাত্র ৮০ দশমিক ৮৯।
সালমানের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তান, যেখানে ১৭ জয়ের বিপরীতে ১৩ পরাজয়। ব্যাট হাতে করেছেন ৫৫৭ রান, যার মধ্যে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিও আছে। যদিও ফাইনালে তার কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা। তবে তার পক্ষে যুক্তি দেন নির্বাচকরা। তাদের দাবি, একই টুর্নামেন্টে ৭২ রান করে ১৮ গড়ে থেমেছিলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।
এদিকে বোর্ডে শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে আবারও অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে, তবে তাতে দ্বিমত পোষণ করেন নির্বাচক ও কোচ। একই সঙ্গে বাবর আজমকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরানোর প্রস্তাবও নাকচ হয়। তরুণ ক্রিকেটারদের আরও সুযোগ দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
এশিয়া কাপ চলাকালীন ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার পাঠাতে চেয়েছিল বোর্ড, কিন্তু ইনজুরি ব্যতীত স্কোয়াড পরিবর্তনের অনুমতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। ফলে ব্যাটার হিসেবে সালমানের জায়গা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তাকে “বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়ক” বলেই আখ্যা দেন নির্বাচক ও কোচ।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের আগে শারজায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দ্য গ্রিন ম্যানরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে স্বাগতিকরা। আগামী ২৮ ও ৩১ অক্টোবর এবং ১ নভেম্বর গড়াবে তিন ম্যাচের এই সিরিজ। আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই সিরিজকে বিবেচনা করা হচ্ছে।