নীতিমালা লঙ্ঘন করে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে এক বছরে দুইবার বদলির সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ

সাবের মাহমুদ
সাবের মাহমুদ © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সাবেক সহকারী পরিচালক সাবের মাহমুদকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে এক বছরে দুইবার বদলির সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি হয়েছে।  যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সরকার চাইলে বিশেষ বিবেচনায় এক বছরে দুইবার বদলির সুযোগ দিতে পারে।

শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালার ৪.৩ এর (খ) অনুযায়ী শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক/কর্মকর্তাগণ একই কর্মস্থলে ২ (দুই) বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সাবের মাহমুদের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষা ক্যাডার সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকার চাইলে যে কোনো সময় যে কাউকে বদলি করতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষা ক্যাডারের ১৭ কর্মকর্তাকে বদলি ও সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ৩৬ ব্যাচের সাবের মাহমুদও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর শিক্ষা ক্যাডারের ৩৬ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. সাবের মাহমুদকে রংপুর সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছিল। ১১ মাসের ব্যবধানে সেই সাবেরকে আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার ইডেন কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক পদে বদলি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) মজিবর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সরকার চাইলে যে কাউকে, যে কোনো সময় বদলি করতে পারে। বদলির জন্য নীতিমালায় কেবল একটি কাঠামো দেওয়া হয়েছে। সাবের মাহমুদের বদলির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পতিত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন মো. সাবের মাহমুদ। এই  পরিচয় ব্যবহার করে ব্যানবেইসে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন ব্যানবেইসের ৪৩ জন প্রোগ্রামার। সংস্থাটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে সাবের মাহমুদের নামও ছিল। যদিও পরবর্তীতে ব্যানবেইসের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাবের মাহমুদের ব্যবহৃত মুঠোফোবে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।