২০ জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন ১,৯৫০ ফিলিস্তিনি বন্দী
- ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৭
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দী-বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। হামাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রায় ১,৯৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে। এদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং ১,৭০০ জন বর্তমান যুদ্ধ শুরুর পর গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি। এর বিনিময়ে হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
হামাস সূত্র জানায়, এই বিনিময় কার্যক্রম চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হবে। ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গেও এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
চুক্তির বাস্তবায়নের সময় গণনা শুরু হবে তখনই, যখন ইসরায়েলি সেনারা গাজার নির্ধারিত সীমারেখায় সরে যাবে। সৌদি টেলিভিশন আল-শার্ক জানিয়েছে, চুক্তি আগামী সপ্তাহে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক সিনিয়র ফিলিস্তিনি সূত্র জানান, মধ্যস্থতাকারীরা ফিলিস্তিনিদের প্রস্তাবিত মানচিত্রে সম্মতি দিয়েছেন, যেখানে ইসরায়েলি সেনাদের গাজার শহরগুলোর ভেতর থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, এই চুক্তিতে ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে, রাফাহ সীমান্ত ও এর আশপাশ থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি রোগী ও আহতদের মিশরে স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হবে এবং চুক্তি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত উভয় দিকেই খুলে দেওয়া হবে।
চুক্তির আওতায় প্রথম পাঁচ দিনে প্রতিদিন গাজায় কমপক্ষে ৪০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে। পরবর্তী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে হামাসের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে, দক্ষিণ গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
সংবাদসূত্র: আল জাজিরা, এএফপি