সালাহউদ্দিন আহমদ

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবন দিতে হয় সেটা আবরারের ঘটনায় দেখেছি

‘মতপ্রকাশ থেকে মৃত্যু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায়
‘মতপ্রকাশ থেকে মৃত্যু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় © সংগৃহীত

ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবন দিতে হয় সেটা আবরারের ঘটনায় দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘মতপ্রকাশ থেকে মৃত্যু: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমি নির্বাসিত জীবনে এই একটি ঘটনায় এত ব্যথিত হয়েছিলাম। চিন্তা করেছিলাম বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্ররা যারা বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে দেশের পক্ষে কথা বলে। তাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু যারা সেই দেশপ্রেম জনগণের সামনে উপস্থাপন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিয়েছিলো তারা জীবন দিয়ে দিলে এক আবরার থেকে লক্ষ আবরার জন্ম নিবে। 

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম এভাবে বাংলাদেশে হয়ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলা যেতো কোন না কোন ভাবে। হয়ত জেলে যেতে হতো, ‍নির্যাতিত হতে হতো, গুম হতে হতো। কিন্তু ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবন দিতে হয় সেটা আবরারের ঘটনায় দেখেছি।

তিনি বলেন, সে কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে যাতে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে। বর্তমানে পৃথিবীর তিনটি দেশ আমাদের উপর আধিপত্যের চেষ্টা করছে। এখানে তারা একটা হেজিমনি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। প্রত্যেকেরই ইন্টারেস্ট আলাদা আলাদা। কিন্তু আমাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তিনটি দেশেরই দ্বারা একইভাবে। সবাইকে অনুরোধ করবো শহীদ আবরার ফাহাদ যেমন দেশের জন্য, দেশের স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে, আমাদের সবাইকে একইভাবে বক্তব্যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হতে হবে এদেশের পক্ষে এদেশের মানুষের পক্ষে। আমাদের নীতি হবে সবার আগে বাংলাদেশ।