‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেল’ চালু করেছে আশা ইউনিভার্সিটি
- ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৫
আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এএসএইউবি) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেল’। এই সেলের লক্ষ্য দেশের উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও উদ্ভাবনের সংস্কৃতি আরও শক্তিশালী করা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রথম তলায় ফিতা কেটে সেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর, সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রফেসর ড. কাজী শাহদাত কবির, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, সিটি ইউনিভার্সিটি, খাগান, বিরুলিয়া, সাভার। এ ছাড়া আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. এস এম রেজাউল করিম, ভাইস চ্যান্সেলর, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট অধ্যাপক, অনারারি ফেলো, স্বনামধন্য গবেষক এবং স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শিক্ষাজগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবনের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী ও দূরদর্শী একটি পদক্ষেপ, যা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের জ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত করবে। অনুষ্ঠানে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ পূর্বে সম্পন্ন হওয়া গবেষণা এবং প্রস্তাবিত গবেষণা প্রকল্পসমূহ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন একটি জাতির মেরুদণ্ড। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল পাঠদান ও পরীক্ষার স্থান নয়—এটি হওয়া উচিত নতুন জ্ঞানের কারখানা, যেখানে প্রশ্ন জাগে, পরীক্ষা চলে, আর নতুন ধারণার জন্ম নেয়। আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আজ সেই পথেই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের উচ্চশিক্ষায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ‘ASAUB Research & Innovation Cell’ ভবিষ্যৎ গবেষক ও উদ্ভাবকদের জন্য হবে এক অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা।’
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এস এম রেজাউল করিম বলেন, ‘আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের লক্ষ্য কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং নতুন জ্ঞানের সৃজন। রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেল হবে আমাদের ভবিষ্যতের বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র, যা তরুণ গবেষকদের বৈজ্ঞানিক কৌতূহলকে লালন করবে।’
তিনি সম্মানিত অতিথি ও অনারারি ফেলোদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।