নয়া কৌশলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে প্রতারকরা; নিরাপদে রাখবেন যেভাবে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি © সংগৃহীত

নতুন কৌশলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। ওটিপি বা এটিএম পিন ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করছেন প্রতারকরা।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু একটি প্রতারণামূলক বার্তার মাধ্যমে অপরাধীরা ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করছেন। প্রতারকরা এমন বার্তা পাঠাচ্ছে যা দেখতে একেবারেই ব্যাংকের অফিসিয়াল মেসেজের মতো। বার্তার সঙ্গে লিংক যুক্ত করে দেয়া হচ্ছে; যা ক্লিক করলেই ভুক্তভোগীর মোবাইল থেকে সরাসরি ব্যাংকের তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। এরপর কোনো ওটিপি ছাড়া খুব সহজেই তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলে।

প্রতারকরা প্রায়ই এমনসব উৎস থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে যেখানে ব্যক্তিরা তাদের ফোন নম্বর শেয়ার করেছেন। তারা এই তথ্য ব্যবহার করে সাম্প্রতিক কেনাকাটা সম্পর্কিত বার্তা পাঠায়।

এছাড়াও প্রতারকরা কল মার্জিং, ভয়েসমেইল হ্যাক, কিউআর কোড জালিয়াতি এবং স্ক্রিন শেয়ারিং প্রতারণার মতো নানা ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে। কল মার্জিং প্রতারণায় কোনও ব্যক্তি যেমন সাংবাদিক বা পেশাজীবীকে ফোন করে বলা হয় তিনি যেন একটি ইভেন্ট কাভার করেন। ঠিক সেই সময়ে আরেকটি অচেনা কল আসে, যেটি নাকি কোনও ‘ভিআইপি নম্বর’। প্রতারক ভুক্তভোগীকে বলে দুই কল মার্জ করতে। কল মার্জের পর প্রতারক সহজেই শুনতে পারে ব্যাংক বা অ্যাপের মাধ্যমে আসা ওটিপি যার মাধ্যমে তারা টাকা চুরি করে বা অ্যাকাউন্ট নিজেদের আওতায় নেয়।

যেভাবে সুরক্ষিত থাকবেন

*অচেনা নম্বর থেকে আসা কল বা মেসেজে সতর্ক থাকুন।
*ব্যক্তিগত বা ব্যাংক তথ্য কখনোই অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
*কোনো অজানা লিংক বা অফার বার্তায় ক্লিক করবেন না।
*অবিশ্বস্ত সূত্র থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না, কারণ এতে হ্যাকাররা *আপনার মোবাইলের ক্যামেরা বা গ্যালারিতে প্রবেশাধিকার পেতে পারে।
*সন্দেহজনক কল পেলে আগে অফিসিয়াল নম্বরে যোগাযোগ করে যাচাই করুন।
*ডিজিটাল যুগে নিজের তথ্য কোথাও দেয়ার আগে সচেতন থাকুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যক্তিগত বিষয় জানানো থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ হ্যাকার বিভিন্ন উৎস থেকেই তথ্য নিয়ে থাকে।