সেই বিতর্কিত চিঠির বিষয়ে যে ব্যাখ্যা বুলবুলের

আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম
আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং নাজমুল আবেদিন ফাহিম © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো একটি চিঠিকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের উত্থান। ওই চিঠির ইস্যুটি শেষমেশ হাইকোর্টেও আসে। মূলত চিঠিতে অ্যাডহক কমিটি থেকে জেলা-বিভাগের কাউন্সিলর নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন বিসিবিপ্রধান, যা নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় ধরেই এই ইস্যুতে চুপ ছিলেন বুলবুল। 

এদিকে আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগের দিন আজ (৫ অক্টোবর) চলমান কমিটির শেষ দিনে বিতর্কিত এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

মিরপুরে চিঠির ব্যাপারে বুলবুল বলেন, ‘আমার একটা চিঠির বিরুদ্ধে একটা রিট হয়েছিল এবং সেই রিটটার কারণ ছিল যে আমি একজন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে কেন চিঠি দিয়েছি।’

স্বপক্ষে বুলবুলের ব্যাখ্যা, ‘সেই চিঠিতে কিন্তু স্পষ্ট বলা ছিল যে, এই নির্বাচনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে। একটা হচ্ছে, জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। এটার সভাপতি সাধারণত জেলা প্রশাসক হয়ে থাকেন। তিনি সই করবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থা যেহেতু নেই এখন, একটা অ্যাডহক কমিটির মধ্যে আছে। কাউন্সিলর হতে হলে অ্যাডহক কমিটির মধ্যে একজন ক্রিকেটার হতে হবে বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সংগঠক হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি এই লিস্টটা পেলাম ইনিশিয়ালি, তখন দেখলাম মাত্র তিনজন কোয়ালিফাই করেছে। এই তিনজনকে নিয়ে তো ইলেকশন করা সম্ভব না। তখন আমি বাধ্য হয়ে চিঠিটা দিয়েছিলাম।’ বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে দীর্ঘ মেয়াদে বা আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বুলবুল। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত বদলে কাউন্সিলর হওয়ার মাধ্যমে তিনি আবারও সভাপতি পদে নির্বাচনের পথে হাঁটছেন।

এদিকে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ঢাকার অধিকাংশ ক্লাবের কাউন্সিলররা, এই তালিকায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও রয়েছেন। যদিও বিসিবির সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাও ছিল তার। তবে সবকিছু সংবিধান মেনেই করা হয়েছে বলে জানালেন বুলবুল।

তার ভাষ্যমতে, ‘ইলেকশন তো ইলেকশনই। আমাদের কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে আমি প্রতিনিধিত্ব বা নির্বাচন করছি। আমার একটা রোল ছিল সেখানে। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের যে সংবিধান আছে, সেটির মধ্যে থেকেই আমরা সব করেছি।’