বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংগঠকদের চিঠি
- ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০২
আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল আলোচিত-সমালোচিত পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। তবে, নির্বাচনের শেষমুহূর্তে এসেও পিছু হাটছে না বিতর্ক। গেল শনিবার (৪ অক্টোবর) পুনরায় তফসিল ও নির্বাচন পেছানোসহ তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছিল ৪৮টি ক্লাবের সংগঠকরা। এবার একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন তারা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে বিসিবি কাউন্সিলর ও ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইরসের পক্ষে এই স্মারকলিপি দেন মো. রফিকুল ইসলাম বাবু।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কাউন্সিলরশিপের ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ হস্তক্ষেপ করে পুরো বিষয়টিকে বিতর্কিত করেছে। ১৫টি ক্রিকেট ক্লাবকে প্রথমে অনুমতি প্রদানের পরও, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চারদিক ঘিরে থাকা স্বার্থান্বেষীদের চাওয়াতেই নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেরদিন তাদের আবেদন বাতিল করে। এর আগে বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধান ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে ক্লাব সংগঠক ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কয়েক দফা বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। তাই ক্লাব সংগঠকরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
এতে আরও বলা হয়, ‘সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিসিবি’র নির্বাহী পর্ষদে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া চেষ্টা চলছে। যা গঠনতন্ত্র ৯ ও ১০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় অবদান ঢাকার প্রিমিয়ার, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ক্লাবগুলোর। ক্লাব সংগঠকরা টুর্নামেন্টগুলো চালাতে বাৎসরিক অন্তত শত কোটি টাকা খরচ করে থাকে। বিনিময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে চান তারা। সে রাস্তাটাই এবার রুদ্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ঢাকার ক্লাবগুলো উপায় না দেখে আসন্ন টুর্নামেন্টগুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে সক্রিয়ভাবে।’
এই স্মারকলিপিতে তিন দফা দাবিও জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো- বিসিবি’র বর্তমান নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিলসহ কাউন্সিলরশিপ বিতর্ক এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া ও পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা।
এসব দাবির পেছনে যুক্তিও তুলে ধরা হয় ক্লাব সংগঠকদের পক্ষ থেকে। সংগঠকরা দাবি করছেন, ‘বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কাউন্সিলরদের তালিকায় সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ ও মোহামেডান-আবাহনীর মত শীর্ষ ক্লাবগুলো এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় বর্জন করেছে। একক ক্ষমতায় বর্তমান সভাপতি বিভাগ ও জেলা কমিটির পরিবর্তন চেয়ে নতুন কাউন্সিলর আহ্বানের চিঠি প্রদান করা গভীর ষড়যন্ত্র। ফারুক আহমেদ সভাপতি থাকা অবস্থায় ১৫টি তৃতীয় বিভাগ টুর্নামেন্ট খেলেছিল। কিন্তু তিনিই আবার ১৫টি ক্লাবকে অবৈধ ঘোষণা করতে আইনের সাহায্য নেন। যা ক্লাব সংগঠকদের কফিনে শেষ পেরেক। এ ছাড়া ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সংগ্রহ করে ক্লাব কোটায় ১২ পরিচালক আগেই নির্বাচন করা হয়েছে।’