সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিবাদে ইউটিএলের মানববন্ধন

সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিবাদে ঢাবিতে ইউটিএলের মানববন্ধন
সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিবাদে ঢাবিতে ইউটিএলের মানববন্ধন © টিডিসি

গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য, ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী বহনকারী আন্তর্জাতিক মানবিক নৌ-অভিযান গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ওপর ইজরায়েলি সেনাদের আক্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) ।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ইউটিএল নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে ইউটিএলের সদস্য ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, বিশ্ব বিবেক আজ নিশ্চুপ রয়েছে। বিশ্ব সংস্থাগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে আসছে না। গাজা উপত্যকাকে ইজরায়েল মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। সুমুদ ফ্লোটিলা বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তোলার জন্য, বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্ব মানবতা জেগে উঠুক, যেন আর কোনো শিশু, আর কোনো মা রক্তে ভেসে না যায়। ইসরায়েলের এই বর্বরতা থামাতে হবে।

বক্তৃতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষ কেবল মুসলমান বলেই আজ তাদের উপর ইজরায়েল অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এটি মানবতার জন্য চরম লজ্জাজনক একটি অধ্যায়। একটি ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হয়েও ইজরায়েল আজ সারা পৃথিবীকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

তিনি সুমুদ ফ্লোটিলার প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, কিছু মানুষ সামান্য খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, অথচ ইজরায়েল সেটিও সহ্য করতে পারছে না। তারা এই মানবিক উদ্যোগকে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ প্রশ্ন জাগে—কোথায় জাতিসংঘ? কোথায় ওআইসি?

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক নিন্দা প্রকাশের আহ্বান ইউটিএলের

ঢাবি অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম বলেন, দুই বছর ধরে গাজার মুসলমান ভাই-বোনদের ওপর ইসরায়েল যে বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে তা অকল্পনীয়। মুসলিম বিশ্ব আজ নিশ্চুপ, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। মানবতা ঘুমিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, যে চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা কার্যকর হলে তাদের স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আমি সেই চাপিয়ে দেওয়া চুক্তির তীব্র সমালোচনা করছি। বরং দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সহাবস্থানই এই সংকটের একমাত্র সমাধান হতে পারে।

মানববন্ধনে অধ্যাপক এইচ এম মোশাররফ হোসেন বলেন, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পথে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সক্রিয় হতে হবে।