খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা আংশিক শিথিল, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন

ক্ষতিগ্রস্তকে ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে
ক্ষতিগ্রস্তকে ত্রাণসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে © টিডিসি

খাগড়াছড়ি শহরে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দিনের বেলায় ১৪৪ ধারা আংশিক শিথিল রাখা হচ্ছে। ফলে মানুষের চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে কড়াকড়িভাবে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকছে। রাত ১০টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ রাখা ও চলাচল সীমিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা সদরের ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭টি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী এবং আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল ও নগদ ৭ হাজার ৫০০ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ ও অনুদানের চেক তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে প্রশাসন সবসময় আছে। আপনাদের ক্ষতি পুরোপুরি পূরণ করা না গেলেও এই অনুদান কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য এবং সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা।

এদিকে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তিনটি মামলায় এখনো কাউকে আটক বা শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, জনজীবন স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।