তারেক রহমান ও রুমিন ফারহানার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি পোস্ট, বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ২০
- ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৫৬
ফেসবুকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির নেত্রী রুমিন ফারহানার ব্যঙ্গাত্মক ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা বাজারে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারেক রহমান ও রুমিন ফারহানাকে ব্যঙ্গ করে পোস্ট দেয়া একটি ছবি শেয়ার দেন জামায়াত নেতা। আর এই ছবি ফেসবুকে শেয়ার দেয়া কে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডা হতে বিএনপি ও জায়ামাত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের জামায়াতের আমির মাওলানা ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তারেক রহমান ও রুমিন ফারহানার একটি ব্যঙ্গাত্মক ছবি শেয়ার করেন। ওই পোস্টকে অবমাননাকর উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। পরে ইলিয়াস হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে পোস্টটি মুছে ফেলেন। এ বিষয়টি নিয়ে আজ স্থানীয়ভাবে বৈঠকের কথা থাকলেও বৈঠকের আগেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত বিএনপির পাঁচজন নেতাকর্মীকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলা যুবদলের সদস্য নেছার আহমেদ চৌধুরী ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ইউনিয়ন সভাপতি’ দাবি করে শিবির থেকে পদত্যাগ, ছাত্রদলে যোগদানের ঘোষণা
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে পালিশারা বাজারের দোকানপাট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত যুবদল নেতা নেছার আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের এই অবমাননাকর বিষয়টি আমরা কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। আমরা ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে জামায়াত কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির হাফেজ আব্দুল মোতালেব বলেন, এটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে ঘটেছে। তবে বিএনপি কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক জানান, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। তবে এখনো কোন আটক কিংবা লিখিত অভিযোগ নেই থানায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।