টাইপ–২ ডায়াবেটিস ঝুঁকি বাড়ায় যেসব রোগের
- ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৪
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ডায়াবেটিসকে বলা হয় নীরব ঘাতক। এর দুটি ধরণ রয়েছে, টাইপ–১ ও টাইপ–২। টাইপ–১ ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু বা কিশোর বয়সে শুরু হয়। এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ধ্বংস করে দেয়। ফলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না।
অন্যদিকে, টাইপ–২ ডায়াবেটিস মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শিশু-কিশোরদের মাঝেও এর হার বাড়ছে। শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করলেও কোষগুলো সেই ইনসুলিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। জীবনধারা পরিবর্তন, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং প্রয়োজনে ওষুধের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ কিছুটা সম্ভব হয়।
নতুনভাবে টাইপ–২ ডায়াবেটিস ধরা পড়া রোগীদের যকৃৎ ও প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
যুক্তরাজ্যের ইউকে বায়োব্যাংক ডেটার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস শনাক্ত হওয়ার পরপরই পুরুষদের ক্ষেত্রে প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৭৪ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। একইভাবে, যকৃৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নারীদের মধ্যে প্রায় পাঁচ গুণ এবং পুরুষদের মধ্যে চার গুণ বেশি পাওয়া গেছে।
এছাড়া এ ধরনের রোগীদের মধ্যে প্যানক্রিয়াস ক্যান্সারের ঝুঁকি গড়ে ২.৩ গুণ এবং যকৃৎ ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১.৮ গুণ বেশি।
গবেষকদের মতে, যেসব রোগীদের নতুনভাবে টাইপ–২ ডায়াবেটিস শনাক্ত হবে তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। বিশেষত যাদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে, পেটের অস্বস্তি বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাদের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা উচিত।
চিকিৎসকরা বলেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করলে এ ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।