‘এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিতে ইসি বায়াস হয়ে বিভিন্ন কথা বলছেন’

কথা বলছেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন
কথা বলছেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন © টিডিসি

জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেছেন, ‘অনেকেই বলেন শাপলা জাতীয় প্রতীক, শাপলা জাতীয় প্রতীক না। জাতীয় প্রতীকের সঙ্গে শাপলা আছে পাট পাতা ধানের ছড়া আছে এবং সেখানে ভাসমান শাপলা মিলে হচ্ছে জাতীয় প্রতীক। কিন্তু শাপলা এককভাবে জাতীয় প্রতীক না। সংবিধানেও তাই বলা আছে। আমরা শুধু একটা ফুল প্রতীক হিসেবে চেয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখছি। শাপলা দেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বায়াস হয়ে বিভিন্ন কথা বলছেন, যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও জনগণের কাছে অপছন্দনীয়।’

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এনসিপি বাউফল উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমাদের দাবি শাপলা প্রতীক হিসেবে আমরা চাই। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন বিধি সংশোধন করে প্রতীক হিসেবে শাপলাকে অনুমোদন দিয়ে আমাদের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিবেন। যদি ইলেকশন রাজনৈতিক দলের দারা প্রভাবিত হয়ে শাপলা প্রতীক হিসেবে না দিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাহলে আমরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার কর্মসূচিও দিতে পারি।’

এ সময় এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘আমরা প্রতীক চাওয়ার আগে জনগণের মধ্যে একটা জরিপ করেছিলাম। সেখানে অধিকাংশ জনগণ শাপলার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। তাই আমাদের শাপলা প্রতীকই দিতে হবে।’
 
এনসিপির বাউফল উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলার নেতা মুহা. ফারুকুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, জেলা প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা, পটুয়াখালী জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারি মোহাম্মদ বশির উদ্দিন, ডাক্তার সাইমুম আহমেদ প্রমুখ।