সরলেন তামিম, মির্জা আব্বাস-সালাহউদ্দিনের ছেলে, বিসিবি নির্বাচনেও কি হারছে বিএনপি?

তামিম ইকবাল
তামিম ইকবাল © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে সাজানো নির্বাচন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না। বরং দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আসন্ন নির্বাচন বড় বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রীড়া সংগঠকরা আশা করেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ক্রিকেটে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তবে জেলা, বিভাগ, ক্লাব ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কাউন্সিলর মনোনয়নের জন্য বিসিবির চিঠি দেওয়ার দিন থেকে নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত নানা নাটকীয়তার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবালের নেতৃত্বে গোটা প্যানেল।

বুধবার (১ অক্টোবর) তামিম ইকবালের সরে দাঁড়ানোর পর নতুন মোড় নেয় বহুল প্রত্যাশিত এই নির্বাচন। শুধু তামিম ইকবালই নন, আরও প্রায় ১৪ জন পরিচালক পদপ্রার্থীও সরে দাঁড়ান। তামিমের নেতৃত্বে মোট ১৫ প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত বলে জানা গেছে। তাদের সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে—নির্বাচনে নানা অনিয়ম, সরকারি হস্তক্ষেপ, ফিক্সিং। সরকারি বললে বোধ-হয় একটু ‘ভুল’ হবে; সহজ করে বললে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দিকেই অভিযোগের তির তামিমপন্থীদের।

বিসিবি নির্বাচনকে ‘ফিক্সিং’ বা পাতানো নির্বাচন আখ্যা দিয়ে তামিম বলেছেন, ‘এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে রইল।’

অন্যদিকে ক্রীড়া উপদেষ্টাও তাদের দিকেই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে দেশের বাইরে বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্নও তুলেছেন আসিফ।

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘ফিক্সিংটা তামিমরা (ভাই) করার চেষ্টা করেছেন, করে ব্যর্থ হয়েছেন। সভাপতি-সেক্রেটারিকে ওনাদের পক্ষ থেকে কল দিয়ে বলা হয়েছে, কাউন্সিলর দিতে হবে, ডিসিদের ধমকানো হয়েছে—এমন অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন ফিক্স করতে গিয়ে তারাই ব্যর্থ হয়েছেন।’

শুধু তা-ই নয়, একটি ফোনকলের বিষয়টিও টেনে আনেন আসিফ। তার ভাষায়, ‘কেউ একজন ফোন করে বিরাট কোহলিকে অভিযোগ দিয়েছে, আর কোহলি সেটা গৌতম গম্ভীরসহ অন্যদের সঙ্গেও শেয়ার করেছেন। দেশের স্বার্থে এমন অভিযোগ বাইরে ছড়ানো একেবারেই লজ্জাজনক।’

বিএনপির অন্য চার নেতা বরকতউল্লা বুলুর ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান, মির্জা আব্বাসের ছেলে মির্জা ইয়াসির আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু ও সালাহউদ্দিন আহমদের ছেলে সাঈদ ইব্রাহিম আহমদ চারটি ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মূলত রাজনৈতিক সঙ্গীসাথি ও বিএনপির সমর্থন নিয়ে মহাসমারোহে নির্বাচনী মাঠে নামাতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যান তামিমপন্থীরা।

এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে ফেরা যাক। সময়টা ২০২৪ সালে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর একই বছরের ১৯ আগস্ট আসিফ মাহমুদকে পুরো ‘হোম অব ক্রিকেট’ ঘুরিয়ে দেখান তামিম। খোশগল্পেও মাততে দেখা যায় তাদের। ওই সময়ে অনেকেই ভেবেছিলেন, বিসিবিতে বড় কোনো দায়িত্ব পাচ্ছেন তামিম! যদিও আজ অবধি তেমন কিছুই ঘটেনি। উল্টো বিসিবিকেন্দ্রিক নানা বিতর্কে জড়ায় দেশসেরা এই ওপেনারের নাম।

তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়, বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কের পেছনে রাজনৈতিক কারণও দেখছেন অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষক। এবার কারা নির্বাচিত হবেন, তা নিয়ে বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফের মধ্যে বৈঠকের একাধিক খবরও গণমাধ্যমের বরাতে জেনেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এ নিয়ে গেল কয়েক দিনে বেশ কয়েক দফায় মিটিং হয়। সেসব আলোচনার সাক্ষী তামিমও।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ৯:৩ অনুপাতে (বিএনপিপন্থী ৯, সরকারপন্থী ৩ পরিচালক) বোর্ড পরিচালক বণ্টনের মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা ছিল। তবে এতে আপত্তি তুলেন তামিম। সমঝোতার আশায় ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় যখন আলোচনা চলছিল, তখন হঠাৎই তা ভেঙে যায় তামিমের বক্তব্যে। সাবেক এই অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘ভাগাভাগির’ ভিত্তিতে বোর্ডে যেতে রাজি নন তারা, বরং ক্লাব ক্যাটাগরির ১২টি পরিচালক পদই চান।

গুঞ্জন ছিল, বিএনপি-ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যে সমঝোতায় থামছে এই নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক। কিন্তু তামিমের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থী প্যানেলের আপত্তিতে নতুন মোড় নেয় বিষয়টি। বিসিবি-সংশ্লিষ্ট ও ক্রীড়া বিশ্লেষকরা বলছেন, পর্দার আড়ালে সমঝোতার এত সব নাটকের পেছনে তামিমেরও দায় বেশ।

একাধিক সূত্র জানায়, ক্লাব ক্যাটাগরিতে ৯:৩ অনুপাতে (বিএনপিপন্থী ৯, সরকারপন্থী ৩ পরিচালক) বোর্ড পরিচালক বণ্টনের মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা ছিল। তবে এতে আপত্তি তুলেন তামিম। সমঝোতার আশায় ক্রীড়া উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় যখন আলোচনা চলছিল, তখন হঠাৎই তা ভেঙে যায় তামিমের বক্তব্যে। সাবেক এই অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘ভাগাভাগির’ ভিত্তিতে বোর্ডে যেতে রাজি নন তারা, বরং ক্লাব ক্যাটাগরির ১২টি পরিচালক পদই চান।

যেখানে ক্রীড়া উপদেষ্টাও ক্ষুব্ধ হন এবং আলোচনায় নতুন মোড় ঘুরে যায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তামিমের এমন কঠোর অবস্থানের পরই মূলত সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

হাইকোর্টের রায়ের পর তামিমপন্থীরা সরে দাঁড়াচ্ছেন, এমনটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। যদিও এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠকও চলেছিল। কিন্তু তাতে সমাধান না আসায় বুধবার একরকম বাধ্য হয়েই সরে দাঁড়ান তামিমপন্থীরা।

জানা যায়, আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে সভাপতি হিসেবে মানতে রাজি ছিল তামিমপন্থীরা। তবে ঢাকার ক্লাব কোটায় সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে বোর্ডে নেওয়ার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি ছিল তাদের। অবশ্য পাল্টাপাল্টি এ অবস্থানে এক নতুন নাটকীয়তা যোগ হয়। গত সোমবার সমাঝোতার আলোচনার রাত পার হতে না হতেই মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হয়। এতে ফের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে সেসব ক্লাব।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের জানায়, ফারুকের নির্বাচন ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত ৯:৩ ফর্মুলা থেকে সরে এসে পুরো ১২টি পদের জন্য পূর্ণ প্যানেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তামিমপন্থীরা। ফলে অনেকের ধারণা, ক্ষোভ থেকেই ১৫টি ক্লাবে বিপক্ষে রিটটি করেন ফারুক। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন সাবেক এই সভাপতি। অন্যদিকে ক্রীড়া বিশ্লেষকদের একটি অংশ মনে করছেন, মূলত ওই ১৫ জন ক্লাব প্রতিনিধি ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়াই তামিমের সরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারণ।

তবে বিসিবি ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হাইকোর্টের রায়ের পর তামিমপন্থীরা সরে দাঁড়াচ্ছেন, এমনটা আঁচ করতে পেরেছিলেন। যদিও এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠকও চলেছিল। কিন্তু তাতে সমাধান না আসায় বুধবার একরকম বাধ্য হয়েই সরে দাঁড়ান তামিমপন্থীরা।

এ নিয়ে সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক এম এম কায়সার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘বাস্তবতা হলো তামিম এ নির্বাচনে জেতার জন্য এবং বড় চেয়ার পাওয়ার জন্য সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে একধরনের সমঝোতা এবং ভাগাভাগির প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে গত সোম ও মঙ্গলবার রাতে লম্বা সময়জুড়ে বৈঠক করেছিলেন তারা । শুরুতে সেই বৈঠকে উভয় পক্ষের হাসিমুখ থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর স্থায়ী হয়নি। কারণ, ভাগ-বণ্টনের সমঝোতা যে হলো না।’

এদিকে এবারের বিসিবি নির্বাচনে বিএনপির চারজন নেতার ছেলেও প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের নিয়েই মূলত পর্দার অন্তরালে একধরনের সমঝোতা চলছিল। এ নিয়েও ক্লাব ক্যাটাগরিতে বিভেদ-অসন্তোষে চাপা উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির নেতা-পুত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়ায় এককভাবে নির্বাচনে দাঁড়ান প্রকৃত ক্লাব সংগঠকেরা। তাদের রেখে তামিমপন্থীরা প্যানেল করায় বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি ক্লাব সংগঠকরা। যে কারণে ১২টি পদের বিপরীতে ৭৬ কাউন্সিলরের মধ্যে ৩২ জনই মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন।

ক্রীড়া বিশ্লেষকরাও নিশ্চিত ছিলেন, ক্যাটাগরি-২-এর ক্লাব কাউন্সিলররা বিএনপিপন্থীদের মূল শক্তি এবং ক্যাটাগরি-১-এর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং ক্যাটাগরি-৩-এর সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার কাউন্সিলররা নির্বাচনে সরকারপন্থীদের শক্তি।

শেষমেশ কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের কাউন্সিলর ও বর্তমান বিসিবির পরিচালক সালাহউদ্দিন চৌধুরী এবং ব্রাদার্সের কাউন্সিলর ও বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেনের ছেলে ইশরাক হোসেন ছাড়া অন্য সবাই নিজেদের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিএনপির অন্য চার নেতা বরকতউল্লা বুলুর ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান, মির্জা আব্বাসের ছেলে মির্জা ইয়াসির আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইসরাফিল খসরু ও সালাহউদ্দিন আহমদের ছেলে সাঈদ ইব্রাহিম আহমদ চারটি ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মূলত রাজনৈতিক সঙ্গীসাথি ও বিএনপির সমর্থন নিয়ে মহাসমারোহে নির্বাচনী মাঠে নামাতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যান তামিমপন্থীরা।

অবশ্য তামিমকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের পাশাপাশি সেন্টার অব এক্সিলেন্স গঠনের দায়িত্ব দিয়েই সমাঝোতার আশা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে তাকে দুটি সহসভাপতি পদের যেকোনো একটি দেওয়ার আলোচনাও উঠেছিল। তবে ক্লাবগুলোর মধ্যে নানা বিভেদেই বাধে বিপত্তি। কিন্তু ক্লাব ক্যাটাগরি থেকেই দুটি সহসভাপতি পদ পূরণ করা হচ্ছে, এমনটি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

ক্রীড়া বিশ্লেষকরাও নিশ্চিত ছিলেন, ক্যাটাগরি-২-এর ক্লাব কাউন্সিলররা বিএনপিপন্থীদের মূল শক্তি এবং ক্যাটাগরি-১-এর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং ক্যাটাগরি-৩-এর সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার কাউন্সিলররা নির্বাচনে সরকারপন্থীদের শক্তি।

কিন্তু প্রকৃত সংগঠকদের অনেককে বাদ দিয়ে ক্লাব ক্যাটাগরিতে বিএনপির পাঁচ নেতার ছেলেকে কাউন্সিলর করা হয়। অতীতে এসব ক্লাবকে অর্থায়ন করাদের বাদ নিয়ে হঠাৎ রাজনৈতিক নেতা-পুত্রদের সামনে আনায় ক্লাবগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়।

এ নিয়ে বিবিসি বাংলাকে এম এম কায়সার বলেছেন, ‘তামিম তার প্যানেলে বিএনপির পলিটিক্যাল কিডসদের জায়গা দিতে গিয়ে ক্লাবের অনেক পরীক্ষিত এবং তার সমর্থনে এত দিন স্লোগান তোলা ক্রিকেট সংগঠকদের জায়গা দিতে পারেননি। নিজের প্যানেলে এ নিয়ে তামিমকে বড় সংকটে পড়তে হয়েছিল। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সরকার সমর্থিত পক্ষের সঙ্গে সমঝোতাও শেষ পর্যন্ত না হওয়ায় চারদিকের তুমুল চাপের মধ্যে পড়তে হয় তামিমকে।’

সবমিলিয়ে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যেমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তেমনি ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি এখন এই ভোটযুদ্ধের দিকেই নিবদ্ধ। শেষ মুহূর্তের এ নাটকীয়তা নির্বাচনের মোড় কোনদিকে ঘুরিয়ে দেয়, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা ক্রিকেটাঙ্গন। আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন।

এম এম কায়সারের মতে, সত্যিকার অর্থে এই নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় বা ভাগাভাগিতে এবং নিজের প্যানেল সাজানোর পরিকল্পনায় হেরে গিয়েই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম।

অবশ্য এর পেছনে বিএনপির রাজনৈতিক পরাজয়ও দেখছেন অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষক। তারা বলছেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপির কেন্দ্রীয় চার নেতার ছেলেসহ তামিমপন্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ছাড়া তামিমকে বিএনপির প্রার্থী বলেই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবি। এ ছাড়া বিএনপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও তামিমের সবর উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছিল। চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশের পর দলটির ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রোগ্রামেও তামিমকে দেখা যায়।

সবমিলিয়ে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে যেমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে, তেমনি ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টি এখন এই ভোটযুদ্ধের দিকেই নিবদ্ধ। শেষ মুহূর্তের এ নাটকীয়তা নির্বাচনের মোড় কোনদিকে ঘুরিয়ে দেয়, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা ক্রিকেটাঙ্গন। আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন।