গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের উদ্বেগ
- ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫০
সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ মানুষের জন্য গাজা অভিমুখে মানবিক ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযানে হামলা ও এই মানবিক বহরে নেতৃত্ব দানকারী অধিকার কর্মী গ্রেটাসহ ২০০ জনকে অন্যায়ভাবে আটক করেছে ইসরাইলের নৌবাহিনী। এ ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের (ইউটিএফ)।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের আহবায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, ‘ইজরাইলি বাহিনী কর্তৃক মানবিক ত্রাণবাহী বেসামরিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজ গাজায় প্রবেশে বাঁধা বিশ্বমানবতার বিরুদ্ধে স্পষ্টত যুদ্ধ ঘোষণার শামিল এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ২০২৫ সালের আগস্টের শেষের দিকে গাজা অভিমুখে তার যাত্রা শুরু করে। ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার পর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৫০টির বেশি নৌযান রয়েছে। যেখানে ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আনার চেষ্টা চলছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ফিলিস্তিনের গাজার ওপর থেকে ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নিতে সমুদ্রপথে গাজার দিকে বিশ্বসম্প্রদায়ের ভালোবাসা সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীদের সর্ববৃহৎ নৌ বহর-দ্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা।
এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন আমাদের আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গাজাবাসীকে ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে রক্ষার এই নৌ বহরে শহিদুল ইসলামের অংশগ্রহণ পুরো বাংলাদেশের শান্তিকামী মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমরা গাজাবাসীর সাথে বাংলাদেশ সবসময় ছিলাম ও আছি এ প্রত্যয়ের প্রতীক আমাদের শহিদুল আলম। আমাদের সমর্থন ও ভালোবাসা গাজাবাসীর কাছে পৌঁছে দিবেন।
ইউটিএফ নেতৃবৃন্দ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজ অবাধে গাজায় প্রবেশ আটক অধিকার কর্মীদের মুক্তি, চিরতরে আগ্রাসন বন্ধ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কার্যকর ও সুনিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্বসম্প্রদায়কে অতি শীঘ্রই দায়িত্বশীল ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান।