সুমুদ ফ্লোটিলা আটকানোর প্রতিবাদে ৯ দেশের কঠোর প্রতিক্রিয়া
- ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৪
গাজা অভিমুখে খাদ্য নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকে দেওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ইস্তানবুল, অ্যাথেন্স, বুয়েনস আয়ারেস, রোম, বার্লিন, মাদ্রিদসহ বিভিন্ন শহরগুলোতে হাজার হাজার রাস্তায় নেমে সমাবেশ করেছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন অধিকারকর্মী,সাংবাদিক, ইতালি, স্পেনের এমপিও রয়েছেন। বিশ্ব নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃত নাগরিকদের মুক্তির দাবি ও কনস্যুলার সেবা দেওয়ার আহবান করেছেন।
নিচে কিছু দেশের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
তুরস্ক
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের হস্তক্ষেপকে ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। এসময় তারা নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয় ‘নৃশংস নেটানিয়াহু সরকারের ফ্যাসিস্ট ও সামরিক নীতিগুলি শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য সীমাবদ্ধ নেই।‘
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স য়ে এক বিবৃতিতে ‘মালয়েশিয়ার নাগরিকদের দ্রুত মুক্তি এবং সব আইনগত উপায়ে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করা্র ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করছে না, বরং বিশ্বের বিবেককে পদদলিত করেছে।’
কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো ঘোষণা করেছেন, তারা ইসরায়েলের কূটনীতিকদের দেশ থেকে বের করে দিচ্ছেন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে কলম্বিয়ার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন।
ইতালি
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টোনিও তাজানি স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাদের আশ্বাস দিয়েছে যে ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে কোনও সহিংস পদক্ষেপ নিবে না । একই সঙ্গে, ইতালির শ্রম ইউনিয়নগুলো শুক্রবার সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে, যাতে তারা ফ্লোটিলা ও গাজার প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে পারে।
আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি. হিগিন্স বলেন যে, ইসরায়েল গাজায় অত্যাবশ্যক সহায়তা পৌঁছানো বন্ধ করছে। ‘এই মানবিক অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।‘
বেলজিয়াম
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাক্সিমে প্রেভো বলেছেন, ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। নাগরিকদের অধিকার বজায় রাখা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দ্রুত আবার দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।‘
ফ্রান্স
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তাদের নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা প্রদান করা এবং অযাচিত বিলম্ব ছাড়া তাদের ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র
এই সপ্তাহের শুরুতে ২০ জন ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা হোয়াইট হাউসকে চাপ দিয়েছিলেন যে ফ্লোটিলার সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হোক।
গ্রিস
গ্রিস ও ইতালি এই সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল, যাতে তারা ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছে ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চয়তা দিতে এবং কনস্যুলার সুরক্ষা প্রয়োগ করার সুযোগ দেবে।