সন্তানের নাম রাখার পারিশ্রমিক ৩৬ লাখ টাকা, সিরিয়ালে থাকেন বাবা-মা

সন্তানের নাম রাখার পারিশ্রমিক ৩৬ লাখ টাকা
সন্তানের নাম রাখার পারিশ্রমিক ৩৬ লাখ টাকা © সংগৃহীত

নবজাতকের নামকরণ নিয়ে বাবা–মায়ের মধ্যে যেমন আনন্দ থাকে, তেমনি থাকে সিদ্ধান্তহীনতা। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বাসিন্দা টেলর এ হামপ্রি এই নামকরণকেই পরিণত করেছেন পেশায়। মা–বাবাকে নবজাতকের জন্য উপযুক্ত নাম খুঁজে দিতে সহায়তা করাই তার কাজ। আর এ সেবার বিনিময়ে তিনি নেন লাখ লাখ টাকা।

দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শিশুর নাম খুঁজে দেওয়ার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক হিসেবে হামপ্রি নেন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

নামের প্রতি হামপ্রির ভালোবাসা বহুদিনের। এক দশক আগে তিনি অনলাইনে শিশুদের নামকরণ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে নামকরণ সংক্রান্ত প্রচার শুরু করেন। বর্তমানে টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি ৫০০–এর বেশি শিশুর নাম রাখতে সহায়তা করেছেন।

হামপ্রির গর্ভবতী নারীদের মানসিক ও শারীরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে রয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি তার রয়েছে ব্র্যান্ডিং ও বিপণনের অভিজ্ঞতাও, এই ব্যতিক্রমী পেশায় তাকে সফল হতে সহায়তা করেছে।

নাম পছন্দের ক্ষেত্রে বাবা–মায়ের চাহিদা ও পারিবারিক ইতিহাস বুঝতে হামপ্রি নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। একটি সাধারণ তালিকা ই–মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর সেবার জন্য তিনি নেন ২০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ হাজার টাকা। আর পূর্ণাঙ্গ ‘নেমিং প্যাকেজ’-এর জন্য তার পারিশ্রমিকই ৩০ হাজার ডলার।

এই প্যাকেজে শিশুর পারিবারিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে নাম প্রস্তাব করা হয়। শুধু তাই নয়, নাম নিয়ে মা–বাবার মধ্যে মতানৈক্য হলে হামপ্রি কখনও কখনও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন। ধনী পরিবার থেকে শুরু করে পরিচিত তারকারাও তার এই ব্যতিক্রমী সেবার গ্রাহক।

২০২১ সালে নিউইয়র্কার পত্রিকায় তার প্রোফাইল প্রকাশের পর তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামপ্রিকে নিয়ে কিছু সমালোচনাও হয়। 

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক ঠাট্টা করা হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক কনটেন্ট থেকেই মানুষ আমাকে চিনেছে। আমি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখি, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমার কাজটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।’