গাজার পথে শহিদুল আলম, হাতে বাংলাদেশের পতাকা

শহিদুল আলম
শহিদুল আলম © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি শহিদুল আলম নিজেও বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির ওট্রান্টো থেকে ফ্লোটিলার সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ চড়ে তিনি যাত্রা শুরু করেন।

এর আগে গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার শুক্রাবাদে দৃকপাঠ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম ঘোষণা দেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা ও গণমাধ্যমের নীরবতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) উদ্যোগে পরিচালিত ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’ অভিযানে তিনি যোগ দেবেন।

ঘোষণার পরদিন তিনি ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। যোগদানের ব্যাখ্যায় শহিদুল আলম বলেন, ‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে ফিলিস্তিনে মানুষ হত্যা করছে। পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশও এতে সহযোগিতা করছে। তবে পৃথিবীর বহু দেশের মানুষ এর প্রতিবাদ করছে। সেই বৈশ্বিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই আমি এই ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছি।’

শহিদুল আলম আরও জানান, এ অভিযানে ৫০টিরও বেশি জাহাজ অংশ নিচ্ছে। তাঁর যাত্রার জাহাজে থাকবেন প্রায় ১০০ জন, যার এক-তৃতীয়াংশ সাংবাদিক, এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক এবং বাকি আয়োজক ও সহযাত্রী। এছাড়া ১০টি ছোট নৌযানও থাকবে সঙ্গে। ফ্লোটিলায় ৪৪টি দেশ থেকে প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন।

ইতোমধ্যে নৌবহরটি ইসরায়েল ঘোষিত তথাকথিত ‘বিপৎসীমা’য় প্রবেশ করেছে বলে ফেসবুকে পোস্টে জানিয়েছেন শহিদুল আলম। উল্লেখ্য, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এই নৌবহরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি প্রথম এশীয় হিসেবে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জুরির চেয়ারম্যান হওয়ার সম্মানও অর্জন করেন।