১০ মাসেও শেষ হয়নি সড়ক সংস্কার, ভোগান্তিতে পথচারীরা

বেহাল সড়কের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চলাচলকারীরা
বেহাল সড়কের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চলাচলকারীরা © টিডিসি

লক্ষ্মীপুর শহরের সামাদ মোড় থেকে মোবারক কলোনি পর্যন্ত আব্দুল কুদ্দুস সড়ক এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া মাত্র ৭৫০ মিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ ১০ মাস পার হলেও এখনো শেষ হয়নি। ফলে খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থী, পথচারী ও রিকশা-অটোচালকরা।

এই সড়ক দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন সরকারি কলেজ, আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। এ ছাড়া টুমচর, কাঞ্চনি বাজার ও জনতা বাজারগামী যাত্রী, প্রতিদিনের পথচারী এবং বাণিজ্যিক যানবাহনও নির্ভরশীল এ পথের ওপর।

কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বর্ষায় কাদাপানি আর শুকনা দিনে ধুলায় যাতায়াত একেবারেই দুঃসহ হয়ে উঠেছে।
ভিক্টোরি কলেজের প্রভাষক বেলাল হোসেন নীল বলেন, ‘সরকারি কলেজসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই চরম ভোগান্তি নিয়ে এ পথে চলাচল করছে। বর্ষার দিনে তো হাঁটাচলাই যায় না।’

শিক্ষার্থী তামজিদ বলেন, ‘মাদ্রাসায় যেতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করা এখন অসহনীয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেনের অভিযোগ, রিকশা-অটো এ রাস্তায় আসে না। ফলে ঘুরপথে যেতে হয়, ভাড়াও বেড়ে যায়।

রিকশাচালক তৌহিদ বলেন, ‘এই রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, যাত্রীরাও বিপাকে পড়ে।’

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ৭৫০ মিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ লাখ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গত ৩০ জানুয়ারি কাজ শুরু করে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ২০ নভেম্বরের মধ্যে। কিন্তু মাত্র ইটের কনা ফেলার পরই কাজ থমকে যায়।

ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ রয়েছে। অনুমতি পেলেই আবার শুরু করা হবে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হোসেন জানান, বর্ষাকালে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কার্পেটিংয়ের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা এসেছে।

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, অক্টোবর থেকে কাজ পুনরায় শুরু হবে এবং সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও উন্নত করা হবে।