কী অবস্থায় আছে গোবিপ্রবির প্রথম ছাত্রী হল
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১১
২০১১ সালের জানুয়ারিতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালে নির্মিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হল ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’। বর্তমানে হলটিতে ২২৪ জন নারী শিক্ষার্থী থাকেন। হলটির সার্বিক অবস্থা নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এর সঙ্গে কথা হয়েছে হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজিদা হক মিশুর।
খাবারের মান ও মিল চার্জ সম্পর্কে ড. সানজিদা হক মিশু বলেন, স্বল্প টাকার মধ্যে ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি। বর্তমানে মিল চার্জ ৩০ টাকা রাখা হচ্ছে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আগামী মাস থেকে এটি ৩৫ টাকা করা হবে। এই টাকায় ভর্তা, ভাজি ও একটি তরকারি খাওয়া যাবে। রান্নার মান উন্নত করতে ইতোমধ্যে একজন রাঁধুনী পরিবর্তন করেছি।
হলের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রভোস্ট বলেন, হলে শিক্ষার্থিদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিছুদিন নিরাপত্তার স্বার্থে ছাদের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সেটি আবার খোলা হয়েছে।
পড়াশোনার পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের হলে দুটি রিডিং রুম রয়েছে। নিচতলার রুমটি দমবন্ধকর, সাজসজ্জাও তেমন সুন্দর নয় এবং জানালার এক পাশ খোলা যায় না। ফলে পরিবেশটা অগোছালো লাগে। তবে দোতলার রিডিং রুমের পরিবেশ বেশ ভালো।"
হলের ড্রেনেজ ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রভোস্ট বলেন, আমাদের হলের ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো নয়। বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। সম্প্রতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। হলে মাত্র দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আছেন। এত বড় হলে তাদের দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা কঠিন। এজন্য মাঝে মাঝে আমাকে বাইরের লোক এনে পরিষ্কার করতে হয়। কর্মী বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি।
আবাসন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত পরিবর্তন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। গণরুমের পাশেই তিনতলা বা চারতলা ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। প্রকৌশল দপ্তর এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। তবে ইন্টারনাল কিছু সমস্যার কারণে আমি এখনো আবাসন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিইনি।
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য হলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামলসহ প্রাথমিক ওষুধও হলে রাখা আছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে একটি সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি।
খেলাধুলা ও বিনোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণত মেয়েরা শীতকালেই খেলাধুলা করে। হলে দুটি ক্যারাম বোর্ড আছে। শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকে। এছাড়া বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়।