১৭তম নিবন্ধনের আবেদনবঞ্চিতদের সুযোগ দিতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব পাঠানোর আশ্বাস

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় ১৭তম নিবন্ধনের আবেদনবঝঞ্চিতরা
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় ১৭তম নিবন্ধনের আবেদনবঝঞ্চিতরা © টিডিসি ফটো

বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার আলোচনা শেষে প্রার্থীদের এমন আশ্বাস দিয়েছে এনটিআরসিএ।

এ বিষয়ে ১৭তম নিবন্ধনের আবেদনবঞ্চিত প্রার্থী মো. ইউসুফ ইমন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের প্রকৃত ভুক্তভোগী। আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইন মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছিল। তবে সেটিকে কর্ণপাত করেনি এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা। আমাদের বিষয়গুলো নতুন চেয়ারম্যানকে বলেছি। তিনি আমাদের জন্য একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ব্যবস্থা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’

এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত এনটিআরসিএর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা। এ সময় সেখানে এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিণ্ডায় জড়িয়েন পড়েন তারা। পরে পুলিশের মধ্য দুপুর ১২টার দিকে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে ১৭তম নিবন্ধনের ১৩ সদস্য আলোচনায় বসেন। দুপুর ২টার দিকে এ আলোচনা শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। এক বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লাগে। এতে ১৭তম নিবন্ধনের ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে যায়। এই প্রার্থীরা একটি গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদনের সুযোগ পাননি। এ অবস্থায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ সুপারিশ করার দাবি উঠেছে।