১৭ ও ১৮তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বদের কাছে যে আহবান জানালেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম © ফাইল ফটো

১৭তম এবং ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বয়স সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেননি অসংখ্য প্রার্থী। বিষয়টি সমাধানে আদালতে রিট করার পরও সুরাহা হয়নি। এ অবস্থায় আগামীকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ফের রাজপথে আন্দোলনে নামছেন ভুক্তভোগীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ১৭ ও ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা।

১৭ ও ১৮তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বদের বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। সোমবার সচিবালয়ে দীর্ঘ আলোচনায় জানিয়েছেন কেন ৩৫ ঊর্ধ্বদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আইনি জটিলতাই বা কোথায়। নিচে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের কথপোকথনের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো-

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: আগামীকাল ১৭তম ও ১৮তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
আমিনুল ইসলাম: গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করা একজন নাগরিকের অধিকার। তবে ৩৫ ঊর্ধ্বদের আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। কেননা এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়োগ সুপারিশের সুযোগ নেই। আমরা আইনের বাইরে যেতে পারি না।

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: ১৭তম ঊর্ধ্বদের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও রয়েছে। তবুও তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? 
আমিনুল ইসলাম: ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের কোনো নির্দেশনা নেই। আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামতে নিয়োগ দিতে হবে এমন কিছু বলেনি। তারা বলেছে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে। কোনো বিধিতেই ৩৫ ঊর্ধ্বদের নিয়োগের কথা বলা হয়নি। ফলে আমরা চাইলেও তাদের নিয়োগ দিতে পারি না।

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস: ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। তাদের বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করা যায় কি না?
আমিনুল ইসলাম: ‘১৭তম নিবন্ধনধারীদের বিষয়টি আমি জানি। তবে আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এভাবে আন্দোলন করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। আন্দোলন করা মানেই প্রার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় হারিয়ে যাওয়া। কাজেই আন্দোলন না করে প্রার্থীদের বিষয়টি মেনে নেওয়া উচিত।