দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৯ কোটি, ঢাকায় কত?
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৮
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৯ কোটি, যার মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস করছে প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ মানুষ। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ।
ইসি তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি, সেখান থেকেই আমাদের কাছে এসেছে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা, যা ১৯ কোটি জনসংখ্যা। এর মধ্যে ১ কোটি ৫১ লাখ প্রবাসী। শুধু ঢাকায়ই রয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ মানুষ।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিবিএসের ডেটা একবার একরকম, পরে আবার কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়—এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
সংলাপের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের বড় কাজগুলোর একটি ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। আমরা ২১ লাখ মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে পেরেছি। এছাড়া নয়টি আইন সংশোধনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশন নির্বাচন কমিশনের কাজ এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে তরুণ প্রজন্মকে যথাযথ কাজে লাগানো যায়নি
সংলাপে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান প্রশ্ন তোলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না, এটা বড় বিষয় নয়। বরং কমিশন কি মনে করে বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব?’ তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দায়িত্বশীলতা গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন,‘নির্বাচনে কোনো পক্ষ বাদ পড়লে এবং বাকি দলগুলোর কেউ নির্বাচনের পরিস্থিতি অনুকূলে নয় মনে করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়—তাহলে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা উচিত।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘তরুণদের অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে যেন প্রবীণ, দরিদ্র, নারী ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ হ্রাস না পায়।’
নারী প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, তারা পাঁচ থেকে সাত শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেবে। এটা কি দান-দক্ষিণা? ৫৫ বছর পর এমন কথা শুনে বিস্মিত হয়েছি।’ তিনি ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানান।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাহফুজুর রহমান, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, বিজিএমইইর পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, টিআইবির পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমানসহ অনেকে।